শনিবার, ২৮শে জুন ২০২৫, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


পাহাড়ে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিদেশি রাম্বুটান


প্রকাশিত:
২৮ জুন ২০২৫ ১৫:২০

আপডেট:
২৮ জুন ২০২৫ ২১:৩০

ছবি সংগৃহীত

সবুজ পাহাড়ে ঘেরা খাগড়াছড়িতে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে বিদেশি ফল রাম্বুটান। প্রায় আড়াই একর পাহাড়ের ঢালুতে রাম্বুটান চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আকেইপ্রু চৌধুরী।

মহালছড়ি উপজেলা বিহারটিলা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে রাম্বুটান ফলের গড়ে তুলেছেন।

২০২১ সালে শখে বাগানটি শুরু করেন। এখন চার বছর বয়সি সারি সারি গাছে খোকায় থোকায় ঝুলছে পাকা লাল এবং হলুদ রঙের রসালো সুস্বাদু রাম্বুটান। গাছ ভর্তি ফল আসায় বিদেশি ফলটি এখন পাহাড়ে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এই ফল পাহাড়ে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখাচ্ছে বলছেন কৃষিবিদরা।

রাম্বুটান দেখতে অনেকটা লিচুর মতো, তবে এর ত্বক নরম এবং লোমশ কাঁটা দিয়ে ঢাকা থাকে। মিষ্টি ও স্বাদযুক্ত মাংসালো। ফলে ভিটামিন সি, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধভরা।

ইন্দোনেশিয়ান লাল জাত বিনজাই, থাইল্যান্ড লাল রং রিয়ান, ফিলিপাইন হলুদ জাত কুইজন, মালয়েশিয়ান স্কুল বয় বা আনাক সেকুলা লাল জাত, ইন্ডিয়ান মালয়েশিয়ান হাইব্রিড এন-১৮ লাল এই পাঁচ জাত বিদেশি রাম্বুটান চাষ হচ্ছে।

আকেইপ্রু চৌধুরী বলেন, আড়াই একর ভিটা খালি জায়গায় শখের বসে বাগান শুরু করি। বাগানে চার বছর বয়সি ২২০টি গাছ আছে এর মধ্যে ১৮০টি গাছে ফলন এসেছে। প্রতিটি গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজির বেশি ফল পাওয়া যাবে আশা করছি। কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ১৮০টি গাছে কি পরিমাণ ফল এসেছে তা এখন বলা যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, শখের বাগান থেকে বাণিজ্যিকভাবে চিন্তাভাবনায় চলে এসেছে। গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ায় এক স্থানে মালয়েশিয়ান স্কুল বয় বা আনাক সেকুলা লাল জাতটি এক হাজার চারা লাগিয়েছি এক বছর হয়েছে।

মহালছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ভুঁইয়া বলেন, রাম্বুটান পাহাড়ে চাষাবাদের উপযুক্ত। দেখেছি গাছে ফলন ভালো এসেছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে যাহাতে গাছের গোড়ায় পানি না জমে। ফলটির উচ্চ বাজারমূল্য এবং ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে চাষিরা এটি থেকে উল্লেখযোগ্য অর্থ উপার্জন করছেন।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মালেক জুয়েল বলেন, পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া রাম্বুটান চাষের উপযোগী। আরও উন্নত জাত বের করতে অভিযান চলমান রয়েছে।

 


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top