পার্টি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ আইনের শাসনের ওপর নগ্ন আঘাত : জাতীয় পার্টি
প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১০
আপডেট:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:১৪

রাজধানীর কাকরাইলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, আমাদের পার্টি অফিসে বারবার হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা কেবল একটি রাজনৈতিক দলের ওপর আক্রমণ নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং আইনের শাসনের ওপর নগ্ন আঘাত।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও ব্যথিত। যারা এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা এদেশকে অস্থিতিশীল করে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে তারা সম্পূর্ণরূপে অক্ষম প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা দেখে মনে হয় দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই।
‘আমরা সতর্ক করে দিতে চাই, আইন-শৃঙ্খলার এ ধারাবাহিক অবনতি চলতে থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অসাধু চক্র এভাবে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, আর সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে– এটি জাতির জন্য ভয়াবহ সংকেত।’
ব্যারিস্টার আনিস বলেন, আমরা সবাই পল্লীবন্ধু এরশাদের সারথি। আর পল্লীবন্ধু এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি। এই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা প্রতিনিধিরা নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের প্রতি জাতীয় পার্টির পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা বিবৃতি দিয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য।
ব্যারিস্টার আনিস বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, নেতাকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। অন্যথায় যেকোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো ষড়যন্ত্র বা দমনপীড়নের মাধ্যমে দমে যাবে না। পল্লীবন্ধুর আদর্শ ও জনগণের ভালোবাসায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ– দেশের গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: