ইসিতে নিজ দলের কর্মীদের ধাক্কা খেয়ে রুমিন ফারহানার ‘আক্ষেপ’
প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৪৮
আপডেট:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৩৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে এসে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। শুনানিতে অংশ নেন বিএনপির আলোচিত নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাও। সেখানে তিনি ইসির খসড়া সীমানার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বিপক্ষের লোকজন রুমিন ফারহানাকে ধাক্কা দেয় বলে তিনি নিজেই দাবি করেছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, গত ১৫ বছর যাদের জন্য লড়াই করেছি সেই বিএনপির নেতাকর্মীরাই ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলো।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিকালে এই ঘটনা ঘটে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন রুমিন ফারহানা।
রুমিন ফারহানা বলেন, আমিও মনে করি ২০০৮ সালের আগে যে সীমানা ছিল সেইখানেই আমাদের এখন ফিরে যাওয়া উচিত। মাঝখানে ১৫ বছর একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল, যারা তাদের নিজস্ব ভোট কারচুপির জন্য নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করেছে। সেই সীমানা আমরা মানি না। সেজন্য আমরা বলেছি, ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ছিল সেখানে যাওয়া হোক।
বিএনপির এই আলোচিত নেত্রী বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব। সো আমার কেস আমি প্রেজেন্ট করেছি। আমি আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের যারা আছেন তারা গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ঢুকবে না নির্বাচন কমিশনে। আনফরচুন্টেলি আমি দেখলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ যিনি প্রার্থী তিনি তার সদলবলে ২০-২৫ জন মিলে গুন্ডাপান্ডার মতো তারা সেখানে আচার-আচরণ করছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক, অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং আমি মনে করি এটা কমিশনের গাম্ভীর্য এবং যে সম্মান সেইটার সঙ্গে এটা যায় না।
মারামারির বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু ওদের ১০ জন ১২ জন মিলে কথা বলছে, সো আমি একজন কথা বলেছি। আমার পক্ষে একজন ডাক্তার, উনি কথা বলেছেন। আমি কোনো গুন্ডা-বদমাশের মেলা করিনি। করতে চাইলে করতে পারতাম। গুন্ডা আনতে চাইলে গুন্ডা আনা যায়। অসুবিধা হয় না। আমি ভদ্রলোক নিয়ে এসেছি। কিন্তু তারা যেহেতু গুন্ডাপান্ডা নিয়ে এসেছে এবং আবল-তাবল লোক কথা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে; আমি লাস্টে একটা কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। সেখানে যেটা ১৫ বছরে হয় নাই সেটা আজকে হয়েছে। অলমোস্ট আমার গায়ে ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য গত ১৫ বছর লড়াই করলাম তারা আমাকে এখন ধাক্কা দেয়তো, ঠিক আছে ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের খসড়া প্রকাশের পর পক্ষে ও বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে। আজকের শুনানির একপর্যায়ে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। পরে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এক পর্যায়ে ইসি সচিব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি শেষ করেন এবং তাদের শুনানিকক্ষ ত্যাগের অনুরোধ জানান। শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। আর অন্যান্য বেশ কয়েকজন খসড়ার বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।
খসড়ার বিপক্ষে থাকা শুনানিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা আমাদের উপজেলা অখণ্ড চাই।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: