ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে উপকারী ৫ পানীয়
প্রকাশিত:
১১ জুন ২০২৫ ১৬:৪৬
আপডেট:
১৪ জুন ২০২৫ ০০:৫০

বর্তমানে ফ্যাটি লিভার একটি পরিচিত সমস্যা হয়ে উঠেছে। এই সমস্যা প্রতিরোধে সচেতন থাকা জরুরি। আমাদের প্রতিদিনের কিছু পানীয় ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সাহায্য করতে করতে পারে। সেই পানীয়গুলো লিভারের চর্বি কমাতে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কোন পানীয়গুলো নিয়মিত পান করবেন-
গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। বিশেষ করে এতে ক্যাটেচিন থাকে, যা লিভারের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি-তে উপস্থিত যৌগ ফ্যাট বিপাক বৃদ্ধি করে এবং লিভারের কোষে সঞ্চিত ফ্যাট কমিয়ে লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে তা লিভারের এনজাইমের মাত্রা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা কররে, যা উভয়ই ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চিনি বা দুধ ছাড়া পান করলে এটি সবচেয়ে উপকারী হতে পারে।
লেবু পানি
প্রতিদিন লেবু দিয়ে হালকা গরম পানি পান করলে তা লিভারকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা লিভারের ডিটক্সিফাইং এনজাইম যেমন গ্লুটাথিয়নের উৎপাদন বাড়ায়।
লেবুর পানি হজমে সাহায্য করে, পিত্ত উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে টক্সিন অপসারণে সহায়তা করে। খালি পেটে নিয়মিত লেবু পানি খেলে তা ধীরে ধীরে লিভারের চর্বি জমা কমাতে সাহায্য করে
বিটরুটের রস
বিটরুটের রস বিটালাইন এবং বিটেইন সমৃদ্ধ, উভয় যৌগই লিভারের জন্য প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে, অক্সিডেটিভ ক্ষতি হ্রাস করে এবং লিভারের কোষ পুনর্জন্মকে সহজতর করে।
লিভারের এনজাইমের মাত্রা বাড়াতে এবং লিভারের চর্বি জমা কমাতে সপ্তাহে ২-৩ বার বিটরুটের রস পান করুন। এর উচ্চ নাইট্রেট উপাদান রক্ত সঞ্চালনকেও উন্নত করে।
ব্ল্যাক কফি
ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফেইন রয়েছে, যা প্রদাহ-বিরোধী এবং লিভারের কোষে চর্বি জমা রোধ করে। প্রতিদিন ২-৩ কাপ কফি লিভার ফাইব্রোসিস এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
চিনি বা ক্রিম যোগ না করে ব্ল্যাক কফি পান করলে এর উপকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং লিভারের সুরক্ষা দীর্ঘমেয়াদী হয়।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে (ACV) অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে, যা বিপাক বৃদ্ধি করে, হজমে সহায়তা করে এবং লিভারের চর্বি কমায়। খাবারের আগে এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ ACV যোগ করলে তা চর্বি ভাঙতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেলে তা লিভারের চর্বি জমা কমাবে। তবে পেটে জ্বালা রোধ করার জন্য এটি অল্প পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সব সময় পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: