গর্ভাবস্থায় যেসব ফল খেলে বিপদ হতে পারে
প্রকাশিত:
২৮ মে ২০২৫ ১৫:৫১
আপডেট:
৩০ মে ২০২৫ ০২:৫৭

ফল পুষ্টিকর হলেও গর্ভাবস্থায় কিছু ফল খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যেকোনো ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। খওয়ার আগে ফল ভালোভাবে ধুয়ে কীটনাশকের ঝুঁকি কমাতে হবে। অতিরিক্ত কোনো ফলই খাওয়া ঠিক নয়, বিশেষ করে প্রথম তিন মাস সতর্ক থাকুন।
গর্ভবতী নারীরা যুগ যুগ ধরে বাড়ির বয়স্কদের কাছে বিভিন্ন খাবার খাওয়া ও না খাওয়ার পরামর্শ পেয়ে এসেছেন। সেগুলো তাদের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া জ্ঞান। বর্তমানে বিজ্ঞানের উৎকর্ষের কারণে আমরা স্পষ্ট করে জানি যে কোন পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত এবং কেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী নারীরা কোন কোন ফল খাবেন না।
পাকা পেঁপে
পাকা পেঁপেতে ল্যাটেক্স নামক একটি উপাদান থাকে, যা জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে। এতে গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া পেঁপেতে থাকা প্যাপাইন এনজাইম গর্ভফুল (প্লাসেন্টা) এর কোষ ধ্বংস করতে পারে, যা ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর।
আনারস
আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে, যা জরায়ু মুখ নরম করে সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে। প্রথম তিন মাস আনারস খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শেষের দিকে পরিমিত আনারস খাওয়া যেতে পারে।
আঙুর
আঙুরে রেসভেরাট্রল নামক যৌগ থাকে, যা গর্ভাবস্থায় বিষাক্ত হতে পারে। বিশেষ করে কালো আঙুর না খাওয়াই ভালো, কারণ এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া আঙুরে সাধারণত কীটনাশকের মাত্রা বেশি থাকতে পারে, যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
তেঁতুল
তেঁতুলে ভিটামিন-সি বেশি থাকলেও এটি অ্যাসিডিক প্রকৃতির। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে অম্লতা ও বমি বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া তেঁতুলের ল্যাক্সেটিভ প্রভাব থাকায় ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর।
লিচু
লিচুতে শর্করা ও তাপ উৎপাদনকারী উপাদান বেশি থাকে, যা গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। এছাড়া লিচু গরম প্রকৃতির ফল, তাই শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিছু গবেষণায় লিচুর সঙ্গে গর্ভপাতের সম্পর্কও পাওয়া গেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: