বৃহঃস্পতিবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৫, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


বন্যায় থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়ায় নিহত অন্তত ১১৬


প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:১৫

আপডেট:
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৪৮

ফাইল ছবি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওই অঞ্চলের দুই দেশ থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডে বন্যায় সহায়তাকারী বিভিন্ন দল ড্রোন ব্যবহার করে বন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া লোকজনের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে। আর হেলিকপ্টারে করে ছাদে আটকা পড়া লোকজনের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহ করছে। গত কয়েক বছরের ভয়াবহ এই বন্যায় দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পর সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ জনে পৌঁছেছে।

থাই সরকার বলেছে, টানা এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে দক্ষিণাঞ্চলের ৯টি প্রদেশ বিপর্যস্ত হয়েছে; যেখানে ৫৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে উদ্ধারকর্মীরা তিনটি প্রদেশে ভূমিধস ও বন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া লোকজনের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্যাপক লড়াই করছেন।

থাইল্যান্ড উদ্ধার প্রচেষ্টায় গতি আনতে ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর একটি বিমানবাহী রণতরী, ২০টি হেলিকপ্টার ও খাবার, ওষুধ ও ছোট নৌকাসহ ট্রাকের বহর মোতায়েন করেছে। পানি সাত ফুট পর্যন্ত উঠায় কয়েক দিন ধরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছাতে নৌকা সহায়তা চেয়ে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত থাইল্যান্ডের হাট ইয়াই শহরে পানি নামতে শুরু করেছে বৃহস্পতিবার। এর ফলে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন সহজ ও জরুরি সেবাগুলো ফের চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ থাইল্যান্ডে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। প্রতিবেশী মালয়েশিয়ার সাতটি অঙ্গরাজ্যেও একই ধরনের বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দেশটিতে অন্তত দু’জন নিহত ও ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় শিবিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে, ৬ কোটি মানুষের দ্বীপ সুমাত্রায় এক ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের আঘাতে প্রাণঘাতী বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি করছে।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কমপাস টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমিধসে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে এসেছে। প্রায় সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতার পানির স্রোত গাছের ডাল ও ধ্বংসাবশেষ টেনে নিয়ে ছুটে চলেছে।

দেশটির উদ্ধারকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, প্রবল স্রোত ও বৃষ্টির মাঝেও লোকজনকে কমলা রঙের রাবারের নৌকায় তোলা হচ্ছে। পশ্চিম সুমাত্রা থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা মৃতদেহ বহন করছেন এবং বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বর্তমান চরম বৈরী আবহাওয়া ফিলিপাইনের টাইফুন কোটোমালাক্কা প্রণালিতে অস্বাভাবিকভাবে সৃষ্টি হওয়া সাইক্লোন সেনইয়ারের সক্রিয় সিস্টেমের পারস্পরিক প্রভাবের কারণে হতে পারে


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top