পুতিনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্ষোভ, রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি
প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৩
আপডেট:
৯ জুলাই ২০২৫ ১৯:৫০

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দেন, পুতিনের ‘মিথ্যা’ আচরণের কারণে দুই পক্ষেই মৃত্যু বাড়ছে। ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন আমাদের দিকে অনেক বাজে কথা ছুঁড়ে দেন। সবসময়ই খুব ভালো ব্যবহার দেখান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা অর্থহীন প্রমাণিত হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুতিন অনেক মানুষ হত্যা করছেন—রাশিয়ান সৈন্য এবং ইউক্রেনীয়দের।’
মার্কিন সিনেটে প্রস্তাবিত দ্বিদলীয় নিষেধাজ্ঞার খসড়া বিল সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’ তবে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি যোগ করেন, “আমি আপনাদের বলব না। আমরা কি একটু চমক রাখতে চাই না?’
ট্রাম্পের এই বক্তব্য আসার আগেই তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ইউরোপ কখনো ইউক্রেনকে একা ফেলবে না। ম্যাক্রোঁ জানান, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর জোট’ হিসেবে যুদ্ধবিরতি ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ চালিয়ে যাবে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির জন্য এবং শক্তিশালী, টেকসই শান্তির জন্য আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা এবং নীতির সঙ্গে যুক্ত।
এর আগে মঙ্গলবার ট্রাম্প ইউক্রেনে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও জানান। এই চালানে মূলত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র ব্যবস্থার অগ্রাধিকার থাকবে বলে জানা গেলেও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। পেন্টাগন সম্প্রতি অস্ত্র মজুদ হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিছু চালান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল এবং ‘সক্ষমতা পর্যালোচনা’ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেও এখনো যুদ্ধ প্রশমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসেনি। পুতিনের সঙ্গে একাধিক ফোনালাপসহ সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার রাশিয়া দাবি করে, তারা ইউক্রেনের দিনিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলের ডাচনে গ্রামটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং একাধিক ফ্রন্টে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
মে মাসে তুরস্কে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সীমিত বন্দী বিনিময়ের চুক্তি হলেও বৃহত্তর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা থমকে আছে। মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, পরবর্তী দফার আলোচনার তারিখ ঠিক করার জন্য মস্কো এখনো কিয়েভের উত্তর প্রত্যাশা করছে।
পেসকভ বলেন, ‘যত দ্রুত তারিখ নির্ধারিত হবে—যা আমরা আশা করছি দ্রুত হবে—তত দ্রুত আমরা তা ঘোষণা করব।’
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: