বৃহঃস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৫, ২৪শে আশ্বিন ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান ইডেন শিক্ষার্থীদের


প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৪৩

আপডেট:
৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১৮

ছবি : সংগৃহীত

প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি খসড়া অধ্যাদেশ-২০২৫’ প্রত্যাখ্যান করেছে ইডেন মহিলা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইডেন মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম লিখত বক্তব্যে বলেন, সাত কলেজ সমস্যার সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে স্বতন্ত্র সত্তা বজায় রাখা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সব অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ইউজিসি ও কমিটির সদস্যরা এ কার্যপরিধির বাইরে গিয়ে বাস্তবতা বিবর্জিত একটি ‘হাইব্রিড মডেল’ দাঁড় করিয়েছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, কাদের স্বার্থে এই পরীক্ষামূলক মডেল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে— প্রাইভেট কলেজ নাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়?

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ একপর্যায়ে গুটি কয়েক ব্যক্তির হাতে চলে যায়। তাদের উগ্রতা ও কুরুচিপূর্ণ আচরণে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, নারী শিক্ষার্থী এমনকি অভিভাবকেরাও অনলাইনে ও অফলাইনে মানসিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইডেন কলেজের এ শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই খসড়া অধ্যাদেশ তারা প্রত্যাখ্যান করছেন এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসঙ্গে সাত কলেজ সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য একটি নতুন শিক্ষা কমিশন বা নতুন রিভিউ কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইডেন মহিলা কলেজ নারী শিক্ষার জন্য একটি নিরাপদ অঙ্গন। বহু কনজারভেটিভ পরিবারের ছাত্রী এখানে পড়াশোনা করে। তাই এই কলেজে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য যে জমি ও সম্পত্তি দান করা হয়েছিল, তা কলেজের নামে সংরক্ষিত থাকবে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে হস্তান্তর করা যাবে না বলেও তারা উল্লেখ করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত না করে যদি চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তবে সাত কলেজ সমস্যার সমাধান হবে না বরং জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের রাজপথে ঠেলে দেবেন না।’


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top