বরিশাল বিশ্ববদ্যালয়
এবার জুস পান করিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙালেন উপাচার্য
প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫৫
আপডেট:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৫

তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের পাশে মশারি টানিয়ে ঘুমিয়ে আলোচনায় এসেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। এবার অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে জুস খাইয়ে অনশন ভাঙালেন তিনি।
টানা আন্দোলনের ৩৮ তম দিন শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় উপাচার্য নিজ হাতে জুস খাইয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এর আগে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে লিখিত আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-১ এর নিচ তলায় আমরণ অনশনে বসেছিল সাত শিক্ষার্থী। অনশন শুরুর কিছুক্ষণ পরে উপাচার্য কর্মসূচি স্থলে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় উপাচার্য নিজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে মশারি টানিয়ে শুয়ে পড়েন। পরে সেখানেই রাত কাটান তিনি।
লিখিত আশ্বাসে ববি উপাচার্য বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগের পর থেকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডিজ এর কাজ সম্পন্ন করবো। মঙ্গলবারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুটে বাসের সিট সংকট নির্ধারণ করে ওই রুটে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য রোববার আবেদনপত্র দাখিল করা হবে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ববির আয়তন বৃদ্ধিতে জমির পুনঃঅ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করা হবে।
অনশন ভাঙানোর সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। দাবি পূরণ করতে না পারলে আমি বিদায় নিব। এসময় তার উপর আস্থা রাখতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের দাবিগুলো পূরণের লিখিত আশ্বাস দেওয়াই নিদিষ্ট একটি সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ফের মাঠে নামতে বাধ্য হব।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ ও শতভাগ পরিবহন নিশ্চিত করা। গত ২৯ জুলাই মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর গত ১৪ আগস্ট থেকে টানা এক সপ্তাহ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি ও মহাসড়ক অবরোধের পরও কোনো আশ্বাস না পেয়ে তারা অনশন শুরু করেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: