বিধি অমান্য করে চলছে ডাকসুর প্রচারণা, প্রার্থীরা বলছেন দোয়া চাচ্ছি
প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ২১:১৪
আপডেট:
২৫ আগস্ট ২০২৫ ০২:১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা কাগজে কলমে এখনো শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা ও ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’ অনুযায়ী প্রার্থীরা আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
২৬ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রচারণা করা যাবে।
এই সময়ও সামাজিক,আর্থিক সহায়তা, মজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রাঙ্গণে প্রচারণা চালানো যাবে না। এসব কর্মকাণ্ড ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’ ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
কিন্তু বাস্তবে এ নিয়মের তোয়াক্কাই করছে না ছাত্রদল, শিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বাকি ছাত্র সংগঠন, স্বতন্ত্র প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলে হলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করছেন ভিপি, জিএস, এজিএস এবং অন্য সম্পাদক ও সদস্য প্রার্থীরা। তবে অবাক করার বিষয় কোনো ছাত্র নেতাই ভোট চাচ্ছেন না। তারা সালাম দিয়ে চাচ্ছেন দোয়া।
এ বিষয় কথা হয় ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, হলগুলোতে ছাত্রদলের প্যানেল রয়েছে। প্যানেল থেকে যারা নির্বাচন করবে তাদের সঙ্গে কথা বলা এবং সমন্বয় করার জন্যও তো হলে হলে যেতে হচ্ছে। শিবির-বাগছাসসহ সবাই ক্যাম্পাসে ঘুরছেন, দেখা করছেন। কারোর সঙ্গে দেখা হলে সালাম দিয়ে দোয়া চাওটা কী আচারবিধি লঙ্ঘন? আমি কী একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে পারবো না? এটাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
এদিকে আজ দুপুরে ব্যবসায় অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে শিবির সমর্থিত সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে এক ধরনের সাজ-সাজ আমেজ বিরাজ করলেও নির্বাচন কমিশনের নমনীয় আচরণের কারণে কিছু প্যানেল ও প্রার্থীরা নিয়মিত আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। দলবদ্ধ হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের রিডিং রুমে পর্যন্ত চলে যাচ্ছেন। আমরা ফরমালি এবং ইনফরমালি জানানোর পরও কমিশন আচরণবিধিগুলো লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আশা করি, কমিশনের পক্ষে যে ধরনের নির্দেশনা ছিল তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে যারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: