শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির দায়ে অভিযুক্ত ঢাবি শিক্ষককে অব্যহতি


প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০৮

আপডেট:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১০

ছবি-সংগৃহীত

অবশেষে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির দায়ে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে। জাতির জনক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিসহ নানা ঘটনায় শাস্তির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাতির জনক মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রমাণ আগেই মিলেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল সংবিধান লংঘনের প্রমাণ তুলে ধরে চাকরিচ্যুতি সুপারিশও করেছেন আগেই। সেই সুপারিশসহ আজ সিন্ডিকেট সভায় উঠলে তা অনুমোদিত হয়। অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আর ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে পারবেন না।

তবে, সুপারিশের পরও দীর্ঘদিন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অধিকাংশ সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাবি কর্তৃপক্ষের একটি অংশের রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে। জাতির জনক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রমাণ পাওয়ার পরেও অপরাধীকে রক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন প্রগতিশীল শিক্ষকরা। ব্যক্তিস্বার্থে জাতির জনকের অবমানাকারীকেও চাকরিতে কৌশলেও বহাল রাখার চেষ্টা চলছিল। তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকদের একটি অংশ।

আ্যটর্নি জেনারেল তার পারিশপত্রে সংবিধার লংঘনের তথ্য প্রমান তুলে ধরে লিখেছিলেন, ‘ অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান তাঁর লেখায় স্বাধীনতার ঘোষণা সম্বন্ধে যা লিখেছেন তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি সংবিধানের ৬ষ্ঠ তফসিলের পরিপন্থী। তিনি ১৯৭১ সনের ২৫ শে মার্চের পরে যে আন্দোলনের চিত্র এঁকেছেন তা সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদে বর্ণিত বক্তব্যের পরিপন্থী। অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের বিতর্কিত লেখাটি সংবিধানের ৬ষ্ঠ ও ৭ম তপসিলে বর্ণিত তথ্যের পরিপন্থী ও ইতিহাসের বিকৃতি।’

শাস্তির সুপারিশ করে এরপর আ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, ‘এমতাবস্থায়, আমার মতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যগণ যদি আমার সাথে একমত পোষণ করেন সেক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে অব্যাহতির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁকে পুনরায় কারণ দর্শানের নোটিশ প্রেরণ করা যেতে পারে।’


সম্পর্কিত বিষয়:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top