মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


গ্রাহকদের ঋণ নেয়ার সীমা বাড়ল 


প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৪৯

আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:১৫

ফাইল ছবি

করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রণোদনার অর্থ ছাড়ের নীতিমালা আংশিক শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় উদ্যোক্তারা আগের চেয়ে বেশি ঋণ নিতে পারবেন। একইসঙ্গে নতুন উদ্যোক্তাদেরও ঋণ দেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা গত বছর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে পরিমাণ চলতি মূলধন বাবদ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল তার অর্ধেক ঋণ আলোচ্য প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নিতে পারবেন। নতুন উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা বিবেচনায় চলতি মূলধন বাবদ যে পরিমাণ ঋণ প্রাপ্য হবেন তার অর্ধেক ঋণ এই প্যাকেজ থেকে নিতে পারবেন।

আগের সার্কুলার অনুযায়ী চলমান গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে গত বছর যে পরিমাণ চলতি মূলধন ঋণ নিয়েছিলেন তার অর্ধেক প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেয়ার সুযোগ ছিল এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়ার সুযোগ ছিল ৩০ শতাংশ। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নতুন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। নতুন সার্কুলার অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকরা এখন আগের চেয়ে বেশি ঋণ নিতে পারবেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এখন আরও ২০ শতাংশ বেশি নিতে পারতেন। আগের সার্কুলার অনুযায়ী গত বছরের যে পরিমাণ নিয়েছিলেন তার ৩০ শতাংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। এখন নিতে পারবেন ৫০ শতাংশ। আগের সার্কুলারে ব্যাংক থেকে গত বছরের যে পরিমাণ চলতি মূলধন ঋণ নিয়েছিলেন তার ৫০ শতাংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। এখন যে পরিমাণ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল তার ৫০ শতাংশ নিতে পারবেন।

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন করলেও সেগুলো একসঙ্গে গ্রাহকরা নেন না বা নিতে পারেন না। কিস্তিতে বা প্রকল্পের অংশবিশেষ বাস্তবায়ন করে নিতে হয়। যে কারণে গত বছর অনুমোদন হয়েছিল এমন ঋণ চলতি বছরেও নিতে পারেন। যে কারণে নতুন সার্কুলারে চলতি মূলধন ঋণ অনুমোদনের শর্ত যুক্ত করায় উদ্যোক্তারা আগের চেয়ে বেশি ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণের কোটা ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এসব মিলে আগের সার্কুলারের চেয়ে নতুন সার্কুলার অনুযায়ী বেশি ঋণ নিতে পারবেন।

সার্কুলার অনুযায়ী, আলোচ্য প্যাকেজ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে ঋণ বিতরণ করবে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ দিতে হবে উৎপাদন খাতে, সেবা খাতে ৩০ শতাংশ এবং বাকি ২০ শতাংশ দিতে হবে বাণিজ্য খাতে। এ শর্তটি ব্যাংকগুলোকে পরিপালন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

করোনার প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কম সুদে চলতি মূলধনের জোগান দিতে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা ঋণ নিলে ব্যাংকগুলো জোগান দেবে অর্ধেক ও বাকি অর্ধেক অর্থ জোগান দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের মোট সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রাহক দেবে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভর্তুকি হিসাবে দেবে সরকার।


করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। অন্যান্য প্যাকেজ থেকে ঋণ বিতরণ কিছুটা হলেও এ প্যাকেজ থেকে বিতরণের খুবই কম। মূলত ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহের কারণে এ প্যাকেজ থেকে ঋণ বিতরণ হচ্ছে কম। ব্যাংকগুলো ঝুঁকির কারণে ঋণ বিতরণ করতে চাচ্ছে না। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ প্যাকেজ থেকে ঋণ বিতরণ বাড়াতে শর্ত শিথিল করে যাচ্ছে।


সম্পর্কিত বিষয়:

করোনা ব্যাংক

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top