রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


টানা তিন জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ


প্রকাশিত:
৭ মে ২০২৪ ১৮:৪৯

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ২১:৫১

ছবি সংগৃহিত

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই ২-০ ব্যবধানে লিড নিয়েছে লাল-সবুজের দল।

ফলে আজ তৃতীয় ম্যাচে জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। হারলে বাড়বে অপেক্ষা। এমন সমীকরণের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মিডল অর্ডারে দুই তরুণের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে সফরকারীদের ইনিংস। তাতে ৯ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল শান্তরা।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জয়লর্ড গাম্বির উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানে ৮ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান ব্রায়ান বেনেট। ৮ বলে ৫ রান করে তানজিম সাকিবের বলে আউট হন এই ব্যাটার।

তার বিদায়ের পর আউট হন ক্রেইগ এরভাইন। দলীয় ৩৩ রানে ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন এরভাইন। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে সফরকারীরা।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজও ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি লিটন দাস। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস সূচনা করতে নেমে টাইগার এই ব্যাটার ফিরেছেন দলীয় ২২ রানেই। ১৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই ওপেনার।

এরপর ক্রিজে থাকা আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমের সঙ্গী হয়েছিলেন অধিনায়ক শান্ত। তবে আগের দুই ম্যাচের মত শান্তও আজ ব্যর্থ হয়েছেন ইনিংস ধরতে। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি। সিকান্দার রাজার ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন টাইগার দলপতি। এরপর বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন তামিম।

কিন্তু ফারাজ আকরামের বল উড়ে মারতে গিয়ে দলীয় ৬০ রানে ডিপ মিড উইকেটে মাদান্দের তালুবন্দী হন তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় এ জুটি। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ২১ রান করেন তামিম। এরপর ক্রিজে আসেন জাকের আলি। জাকেরকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হৃদয়।

এই দুই ব্যাটের মারমুখী ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান। তবে অর্ধশত রান করে করে হৃদয় সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় এ জুটি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৫৭ করেন তিনি। হৃদয়ের বিদয়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি জাকেরও। একই ওভারে মুজারাবানির ডেথ ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকের আলী অনিক। পায়ভিলিয়নে যাবার আগে ৪৪ রান করেন তিনি।

শেষদিকে রিয়াদ-রিশাদের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top