সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


রিশাদ ঝড়েও সিরিজ হারল বাংলাদেশ


প্রকাশিত:
৯ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫২

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৪

ছবি-সংগৃহীত

নুয়ান তুশারার হ্যাটট্রিক আর ৫ উইকেট শিকারের দিনে বাংলাদেশ আরও একবার স্বাদ পেল সিরিজ হারের। লঙ্কানদের বিপক্ষে আগে কখনোই সিরিজ জেতা হয়নি টাইগারদের। সিলেটে প্রথম ম্যাচে ৩ রানের হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। তৃতীয় ম্যাচে তাই প্রত্যাশার পারদ কিছুটা উঁচুতেই ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু তুশারার কল্যাণেই জয় আসেনি বাংলাদেশের ভাগ্যে। ২৮ রানের জয় নিয়ে সিরিজ নিজেদের করল সফরকারী শ্রীলঙ্কা।

এর আগে কখনোই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত দ্রুত ছয় উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল বড় হারের জন্য। সেখান থেকেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম করলেন রিশাদ। প্রথমে শেখ মেহেদি হাসানকে নিয়ে শুরু করলেন টিকে থাকার লড়াই। এরপর তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আরেকটা বড় জুটি।

বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। তবে দলকে জেতানোর মত পর্যাপ্ত সময় হাতে ছিল না রিশাদের। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। তাতে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের হারও। তাসকিন নিজেও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যাটাররা যেদিন ব্যর্থ, সেদিন শেষের ঝড়টাও টাইগারদের দিতে পারেনি জয়ের সুবাস।

১৮০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটাই নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশের জন্য। ইনিংসের প্রথম বলেই অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বলে আসে এলবিডব্লিউ-এর আবেদন। আম্পায়ার তা ফিরিয়ে দিলেও রিভিউ নেয় লঙ্কানরা। লিটন জীবন পান আম্পায়ার্স কলের সুবাদে। যদিও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি এই ওপেনার। ১১ বলে ৭ রান করে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে নিজের উইকেট হারান লিটন।

এরপরের পর্বটা কেবলই তুশারার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম তুশারাকে বোলিংয়ে আনলেন অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। মুহূর্তেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ল তাসের ঘরের মতো। ওভারের দ্বিতীয় বলে নাজমুল হোসেন শান্ত, তৃতীয় বলে হৃদয় এবং চতুর্থ বলে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন তুশারা। এখানেই থামেনি তার ধ্বংসযজ্ঞ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ফিরিয়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকারকেও।

হ্যাটট্রিক করার পথে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে তুশারা ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত এক ইনসুইং ডেলিভারিতে। বেসামাল শান্ত অফ স্ট্যাম্প খুইয়েছেন তার ইনসুইংয়ে। এরপর হৃদয় এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আউট হয়ে গেলেন। এবার দ্রুতগতির আউটসুইংয়ের পাশাপাশি ইয়র্কার দিয়েছেন তুশারা। বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ এসেও ভরসা হতে পারেননি। তুশারার আরেকটি আউটসুইং ডেলিভারিতে সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে ভাগ্যকে কিছুটা দুষতে পারেন তিনি। এলবিডব্লিউতে আউট হলেও ইম্প্যাক্ট ও উইকেট হিটিং দুটোতেই ছিল ‘আম্পায়ার্স কল’। অর্থাৎ আম্পায়ার যদি আউট না দিতেন তাহলে এলবি হতেন না মাহমুদউল্লাহ। সেক্ষেত্রে হ্যাটট্রিকও হতো না তুশারার।

এক ওভার পর আবার আঘাত হেনেছেন তুশারা। এবার তার শিকার হয়েছেন সৌম্য সরকার। আগের তিন উইকেটের মতো এবারেও সুইং আর গতিতেই পরাস্ত করেছেন টাইগার ওপেনারকে। দুই ওভারে দুই রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top