হারাম থেকে বাঁচতে পালিয়ে বিয়ে করা যাবে?
প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩০
আপডেট:
৩০ জুলাই ২০২৫ ০৫:২৯

প্রশ্ন: যদি বাবা-মা বিয়ে দিতে না চায় তবে হারাম থেকে বেঁচে থাকতে তাদের অনুমতি ছাড়া নিজেরা বিয়ে করা যাবে?
উত্তর: বিবাহ একটি মহৎ ইবাদত। এটা নিছক সামাজিক কোনো রীতিনীতি নয়। নয় কোনো ছেলে খেলাও। যেখানে আমরা জীবনের নূন্যতম বিষয়েও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে সেখানে বিবাহের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ, গুরুগম্ভীর ও দূরদৃষ্টি সম্পৃক্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে কিভাবে পরিবারকে না জানিয়ে করার চিন্তা করি বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
পরিবারের মুরুব্বিদের না জানিয়ে/পালিয়ে বিয়ে করা শরীয়তের নীতি-আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীত। কেননা এখানে আবেগের চেয়ে বাস্তবতা, অভিজ্ঞতা এবং বর-কনের কাফায়াত (বিবাহ প্রত্যাশীদের সমতা) এর পরিমাণ বেশী। এগুলোতে একটি ভুল সিদ্ধান্ত জীবন থেকে ‘জীবন’কে বের করে দিতে পারে।
তাছাড়া পরিবারের লোকজন বিশেষত পিতা-মাতা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল চায় না। সন্তানের মঙ্গল এবং পারিপার্শ্বিকতার কথা চিন্তা করেই অনেক সময় পরিবার ছেলে-মেয়েদের পছন্দ মতে এবং তাদের প্রত্যাশিত সময়ে বিবাহ দেন না।
আরেকটি বিষয় যা না বললেই নয়। তাহলো আমাদের অভিজ্ঞতায় বলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যারা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বা এজাতীয় কোনো সম্পর্কে জড়িত পড়ে তাদেরই এজাতীয় বিষয়ের সম্মুখীন হতে হয়। অথচ নারীপুরুষের বিবাহপূর্ব যেকোনো সম্পর্ককে শরীয়ত কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।
একারণেই পর্দার বিধান দিয়েছে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, মানুষ হারাম সম্পর্ককে ভালোবাসার ছদ্মাবরণে আপন করে নিয়েছে। এর ফলে যেমনিভাবে ধ্বংস হচ্ছে ব্যক্তিজীবন তেমনি পরিবার, সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে হারাম সম্পর্কের সূচনার মধ্য দিয়ে আসা (যদিও বিয়ে করে বৈধ পদ্ধতিতেই সন্তান গ্রহন করা হয়) আমাদের কোমলমতি সন্তানগুলোও।
বাবা মায়ের অবৈধ সম্পর্কে কুপ্রভাব থেকে সন্তানরাও মুক্ত থাকে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন। এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
কাজেই আবেগ তাড়িত না হয়ে আবেগ কন্ট্রোল করে শরীয়তসম্মত পন্থায় পারিবারের পরামর্শক্রমে বিষয়গুলোর সুরাহা করা আবশ্যক।
বিয়ে যদি বাস্তবেই দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সমঝদার সাক্ষীর সামনে এভাবে হয়ে থাকে, একজন প্রস্তাব দিয়েছেন আর অপরজন তা গ্রহণ করেছেন তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে অভিভাবককে গুরত্ব না দিয়ে পালিয়ে বিয়ে করা একটি মহা অন্যায়। অমানবিক ও অসামাজিক কাজ। সুতরাং আল্লাহ তাআলার নিকট এই গুনাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা দরকার। যত দ্রুত সম্ভব পরিবারকে এ বিষয়ে অবহিত করা। তাদের মানিয়ে নেওয়া জরুরি।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: