দাওয়াত খাওয়ার পর যে দোয়া পড়বেন
প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৮
আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৯:০১

অন্যকে দাওয়াত দেওয়া, মেহমানকে খাওয়া বিশ্বের প্রায় সব দেশ, সব অঞ্চলের ঐহিত্য ও সংস্কৃতির অংশ। মেহমানকে খাইয়ে খুশি হয় না এমন মানুষ পাওয়া ভার। মেহমানের আপ্যায়ন করা রাসুল (সা.) এবং সাহাবিদের সুন্নতের অংশ।
সাহাবিদের জীবনের এমন অনেক ঘটনা আছে, তারা নিজে না খেয়ে মেহমানকে খাইয়েছেন। মেহমানদারির গুরুত্ব সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—
যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে, সে যেন মেহমানের মেহমানদারি করে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস করে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৭)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, মেহমানের সামনে যতক্ষণ দস্তরখান বিছানো থাকে, তা না উঠানো পর্যন্ত ফিরিশতারা তোমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে। (তাবরানী, মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৪৭২৯)
মেজবানের জন্য যেভাবে মেহমানের অ্যাপায়ন করা সুন্নত। তেমনি মেহমানের জন্য দাওয়াত খেয়ে মেজবানের জন্য দোয়া করা সুন্নত। হজরত আনাস ইবনু মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদ ইবনু উবাদাহ (রা.)-এর বাড়িতে গেলেন। সাদ (রা.) রুটি ও যাইতুনের তেল আনলেন। তা খাওয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া পড়েছেন। দোয়াটি হলো—
أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ
উচ্চারণ : আকালা ত্বোয়ামাকুমুল আবরার ওছল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাহ্ ওআফ্ তার ইন্দাকুমুছ ছ’য়িমুন।
অর্থ : আল্লাহ করুন যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খাবার খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে এবং রোজাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৫৪)
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: