মাকরুহ ওয়াক্তে রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ পড়া যাবে?
প্রকাশিত:
২০ মে ২০২৫ ১২:২৪
আপডেট:
২০ মে ২০২৫ ২২:০৩

মসজিদে নববীর বিশেষ একটি অংশ হলো রিয়াজুল জান্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হুজরা থেকে নিয়ে মসজিদে নববীর মিম্বর পর্যন্ত যে জায়গাটুকু রয়েছে তাকেই রিয়াজুল জান্নাত বলা হয়। এ জায়গাটুকুর দৈর্ঘ হচ্ছে ২২ মিটার আর প্রস্থে ১৫ মিটার।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, ‘আমার ঘর ও মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান আর আমার মিম্বার অবস্থিত আমার হাউজ (কাউসার)-এর ওপরে। -(বুখারি, হাদিস :১১৯৬, ১১২০; মুসলিম, হাদিস : ২৪৬৩)
এই হাদিসের মাধ্যমে মসজিদে নববীর এই অংশটির আলাদা বৈশিষ্ট্যের বিষয়টি বুঝে আসে। ফজিলতপূর্ণ এই জায়গাতে জিকির আজকার, নামাজ ও ইবাদত করার ইচ্ছে থাকে প্রত্যেক মুমিনের। হজ, ওমরা করতে যাওয়া প্রত্যেকেই ছুটে যান মসজিদে নববীতে। জীবনের অন্যতম আকাঙ্খা পূরণ করেন রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ পড়ে।
রিয়াজুল জান্নাতে নফল নামাজ আদায়ের চেষ্টা করেন সবাই। তবে মাকরুহ ওয়াক্তে এখানে নামাজ পড়া যাবে না। কারণ, মাকরুহ ওয়াক্তে কোথাও নফল পড়া জায়েজ হবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) ফজরের পর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে না উঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন।
তাই ওই সময়ে রিয়াজুল জান্নাতেও নামাজ পড়া যাবে না। বরং এই সময় সেখানে গিয়ে দোয়া, দুরুদ, কান্নাকাটি তাওবা ও ইস্তিগফার করা উচিত।
সুযোগ হলে মাকরুহ সময়ের পরে সেখানে নামাজ পড়ে আসার চেষ্টা করা। না হলে শুধু দোয়া করেই চলে আসা। সহীহ বুখারী ৫৮১ , ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/৫২
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: