ফেরেশতাদের সম্পর্কে একজন মুসলিমের যে বিশ্বাস রাখতে হবে
প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১০:২৭
আপডেট:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:১১

‘ফেরেশতা’ মূলত একটি ফারসি শব্দ। আরবির ‘মালাকুন’ (একবচন) ও ‘মালাইকা’ (বহুবচন) এর প্রতিশব্দ এটি। কোরআন ও হাদিসে ‘মালাইকা’ শব্দটিই ব্যবহৃত হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বার্তাবাহক।
ইসলামের পরিভাষায় ফেরেশতা এমন ‘নুরানি’ (আলোকিত) সৃষ্টির নাম, যারা যেকোনো সময় বিভিন্ন রূপ-আকৃতি ধারণ করতে পারেন। তারা কখনো আল্লাহর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করেন না। বরং সর্বদা আল্লাহর নির্দেশ আত্মসমর্পিত থাকেন।
ফেরেশতারা আল্লাহর অতি সম্মানিত ও পুণ্যবান সৃষ্টি। তারা সবসময় আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন। পানাহার, বৈবাহিক ও জৈবিক চাহিদা থেকে তারা পুরোপুরি মুক্ত থাকেন। তারা পুরুষও নন, নারীও নন।
আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতারা বিভিন্ন আকার ও রূপ ধারণ করতে পারেন। মানুষের মতো রক্ত-মাংসের সৃষ্টি না হওয়ায়, তাদের কামনা-বাসনা, পানাহারের প্রয়োজনীয়তা ও ঘুম-বিশ্রাম কিছুই নেই। তাদের সংখ্যা মোট কত, তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না।
ফেরেশতাদের প্রতি যে বিশ্বাস রাখতে হবে একজন মুসলিমের
ফেরেশতাদের বিষয়ে কোরআন ও সহীহ হাদীসে যা বর্ণিত হয়েছে তা সরলভাবে বিশ্বাস করা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কোরআনের বর্ণনা অনুসারে একজন মুসলমানের বিশ্বাস করতে হবে যে—
মানুষ সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ অগণিত মালাইকা সৃষ্টি করেছেন, যাঁরা আল্লাহর সম্মানিত সৃষ্টি। তাঁরা মানবীয় দুর্বলতা ও কামনা-বাসনা থেকে মুক্ত। তাঁরা সর্বদা আল্লাহর আনুগত্য করেন এবং আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার কোনো অনুভূতি তাঁদের মধ্যে নেই। সর্বদা আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর প্রশংসা ও মহত্ব বর্ণনা করা, তাঁর নির্দেশে সৃষ্টিজগতের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা তাঁদের কর্ম। সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, মালাকগণ নূর বা আলো থেকে সৃষ্ট।
আল্লাহ ইরশাদ, ‘কেউ আল্লাহ, তার ফেরেশতা, তার কিতাবগুলো, তার রাসুলদের ও পরকালে বিশ্বাস না করলে সে তো মারাত্মকভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৬)
ফেরেশতাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘(এ কোরআন) মহান, পূত-পবিত্র লিপিকারের ( ফেরেশতার) হাতে লিপিবদ্ধ। ’ (সুরা আবাসা, আয়াত : ১৫-১৬)
ফেরেশতা সৃষ্টির ব্যাপারে হাদিস শরিফে এসেছে, ‘ফেরেশতাদের সৃষ্টি করা হয়েছে, আল্লাহর নুর বা ঐশী আলো থেকে। ’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ২৯৯৬)
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: