তাহাজ্জুদ নামাজের ৫ ফজিলত
প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৫ ১২:৪৬
আপডেট:
৫ আগস্ট ২০২৫ ০৩:০২

ফজিলতপূর্ণ নফল নামাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। রাতের গভীরে এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজের মাধ্যমে সহজেই আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হওয়া যায়। মহানবী (সা.) রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়তেন। তাহাজ্জুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে তিলাওয়াত করতেন তিনি।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সূরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)
হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘তোমরা কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস এবং রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপরাশী মোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী।’ (তিরমিজি: ৩৫৪৯)
নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো, দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪৫)
হাদিসে বর্ণিত ফজিলতের বাইরেও আলেমরা বলেন, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার আরও বিশেষ পাঁচটি ফজিলত রয়েছে। এখানে তা তুলে ধরা হলো—
তাহাজ্জুদ নামাজ একজন মুসলিমকে গুনাহ মুক্ত করে।
তাহাজ্জুদ নামাজ কবরকে আলোকিত হতে সাহায্য করে।
তাহাজ্জুদ নামাজ চেহারা উজ্জ্বল করে।
তাহাজ্জুদ নামাজ অলসতা দূর করে।
তাহাজ্জুদ নামাজ শরীর চাঙ্গা করে।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: