‘যারা ভোটাধিকার হরণে সহায়তা করেছে তাদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে’
প্রকাশিত:
২৩ জুন ২০২৫ ১৪:২০
আপডেট:
২৩ জুন ২০২৫ ১৮:৩৬

সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।
তিনি বলেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শুধু তাদেরকে গ্রেপ্তার করলেই হবে না। আরও যারা আছে, যারা আমার দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, যারা এদেরকে সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
সোমবার (২৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘১৪, ১৮, ২৪ অবৈধ নির্বাচনে সহযোগী কর্মকর্তাদের আগামী নির্বাচনের কাজে অন্তর্ভুক্ত না করা’র দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদীন বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান একদিনে হয়নি। বিগত ১৬ বছর বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলের নেতাকর্মীরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, বাড়ি ছাড়া হয়েছে। তারপরেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে ১৬ বছর আন্দোলনের সেই সমর্থনে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব। সেই বিপ্লবের কারণে ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ অবশ্যই জানাবো।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সারা বছর যারা আমার সঙ্গে রাজপথে হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন- শুধু আন্দোলন করে খবরদারি করলে চলবে না, চাঁদাবাজি করলে চলবে না, মানুষের জমি দখল করলে চলবে না।
তিনি বলেন, যদি সরকার গঠন করি, আমি রক্ত দিয়েছি, পুলিশের সঙ্গে লড়াই করেছি, তাই বলে হাসিনার মতো, হাসিনার আওয়ামী লীগের মতো ব্যবহার করব- এটা যদি কেউ করে, তা কখনো হতে দেওয়া যাবে না, হতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা সরকারের উদ্দেশে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে বেছে নিতে দিন কারা সরকার গঠন করবে, কারা নিরপেক্ষভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবে- সেই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর ছেড়ে দিন। জোর করে কেউ আর ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অতীতে হাসিনা কাজ করতে দেয়নি, তার পরিণাম জেলখানা, তার পরিণাম মামলা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক চিফ হুইপ বলেন, আপনাদের উদ্দেশে বলতে চাই- এখন হাসিনা নেই, এরশাদ নেই, এখন হারুন বিপ্লব নেই। এখন বাংলাদেশে আছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সজ্জন ব্যক্তি। তার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে দেশে সেই দল সরকার গঠন করবে, যে দল শহীদদের আত্মত্যাগকে সফল করেছে। সেই সংগ্রামী দলগুলো নিয়ে আগামীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
ইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কী চেয়েছেন, আপনাদের মার্কা আমার জানার বিষয় নয়, কিন্তু পত্রিকায় দেখেছি। দয়া করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন এমন কিছু করবেন না, যেটা বিতর্কিত হয়ে পড়ে। তাহলে নির্বাচনে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম মোজাম্মেল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: