গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ
 প্রকাশিত: 
                                                ৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০০
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২২:১১
                                                
 
                                        ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। সঙ্গে সেখানে এক মাস ধরে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদাররা। এতে সেখানকার পরিস্থিতি ‘দমবন্ধকর’ হয়ে পড়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার (৬ এপ্রিল) জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন হচ্ছে। সাংবাদিক হিন্দ খোদারি গাজার দের এল-বালাহ থেকে বলেছেন, “এখানে এখনো সকাল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফিলিস্তিনিরা যে কোনো খাবারের সন্ধান করছে যেন তারা তাদের পরিবারকে খাওয়াতে পারে। গত এক মাস ধরে গাজায় একটি ট্রাকও প্রবেশ করেনি— কোনো খাবার না, বাণিজ্যিক কোনো কিছু না, কোনো জ্বালানি না, রান্নার কোনো গ্যাস না, এমনকি ওষুধও না। এমনকি কোনো তাঁবু বা আশ্রয় উপকরণও না।”
“এমন অবস্থায় এখানকার পরিস্থিতি দমবন্ধকর হয়ে পড়েছে। আমরা দেখছি অনেক মানুষ এক গ্যালন স্বাস্থ্যকর পানির জন্য লাইন ধরছেন। আমরা দেখছি ফিলিস্তিনিরা গরম খাবারের জন্য বিভিন্ন কিচেনে লাইন ধরছেন। কিন্তু এই কিচেন গুলোর রসদও ফুরিয়ে যাওয়ায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাদের সেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আমরা ধারণা করছি।”— যোগ করেন হিন্দ খোদারি।
এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য সেবা খাতও বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এত মানুষ আহত হয়েছেন যে হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে যে চিকিৎসা দেওয়া হবে সেটির সুযোগ নেই। কারণ চিকিৎসা সরঞ্জামেরই ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ১২ ঘণ্টায় দখলদাররা খান ইউনিস এলাকা লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে। সেখানে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনিসের কয়েকটি আবাসিক ভবন ও অস্থায়ী তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। যারা সেখান থেকেই বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপে মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অপরদিকে সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন।
সম্পর্কিত বিষয়:



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: