বাংলাাদশের পর এবার স্টারলিংককে সবুজ সংকেত দিলো পাকিস্তানও
 প্রকাশিত: 
                                                ২২ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৪
 আপডেট:
 ১ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৩
                                                
 
                                        যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে ব্যবসায়িক ছাড়পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট-এনওসি) দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর জন্য এই ছাড়পত্র স্টারলিংকের জন্য জরুরি; কারণ এটি দেখিয়েই ব্যবসায়িক লাইসেন্স যোগাড় করতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা নিউজ জানিয়েছে, দেশটির মহাকাশ বিষয়ক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রক সংস্থা শুক্রবার প্রদান করেছে এ ছাড়পত্র। আরও বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিজে এই এনওসি’র জন্য সুপারিশ করেছিলেন। সুপারিশে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সরকার দেশে ডিজিটাল সংযোগ ও কার্যক্রম বিস্তৃত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস স্টারলিংককে দেশে ব্যবসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে মাস্কের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও হয় প্রধান উপদেষ্টার।
এর অনেক আগেই অবশ্য পাকিস্তানে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালানোর জন্য দেশটির সরকারের কাছে আবেদন করেছিল স্টারলিংক। সরকারি তথ্য বলছে, পাকিস্তানের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তানে (এসইসিপি) নিবন্ধিত হওয়ার আগ্রহ জানিয়ে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবেদন করেছিল স্টারলিংক।
এনওসি পাওয়ার পর নিবন্ধিত হওয়ার ব্যাপারটি এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। তবে পাকিস্তানের ইন্টারনেট খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সামা নিউজ জানিয়েছে, এনওসি লাভের পরও লাইসেন্স পেয়ে পাকিস্তানে ব্যবসা শুরু করতে আরও অন্তত ১ বছর লাগবে স্টারলিংকের। এই এক বছরে অবকাঠামো নির্মাণ, রেগুলেটরি সমন্বয়সহ বিভিন্ন ধাপ পেরোতে হবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে।
পাকিস্তানে স্টারলিংকের সম্ভাব্য পরিষেবা ব্যয়
পাকিস্তানে ব্যবসা শুরু করতে যদিও এখনও দেরি আছে স্টালিংকের, তবে ব্যবসা শুরু হলে ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য পাকিস্তানের গ্রাহকদের কী পরিমাণ ব্যয় করতে হবে, তার একটা ধারণা পাওয়া গেছে।
কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে তিন ধরনের প্যাকেজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে স্টারলিংকের— আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং মোবাইল।
কোনো ক্রেতা যদি আবাসিক সংযোগ পেতে চান, সেক্ষেত্রে তাকে সংযোগের জন্য এককালীণ ব্যয় করতে হবে ১ লাখ ১০ হাজার রুপি এবং সংযোগ পাওয়ার পর প্রতি মাসে প্রদান করতে হবে ৩৫ হাজার রুপি।
যেসব ক্রেতা বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য আগ্রহী, তাদেরকে সংযোগের জন্য এককালীন ব্যয় করতে হবে ২ লাখ ২০ হাজার রুপি এবং সংযোগের পর প্রতি মাসে প্রদান করতে হবে ৯৫ হাজার রুপি।
মোবাইল সংযোগের ক্ষেত্রে আগ্রহী গ্রাহককে এককালীন ১ লাখ ২০ হাজার রুপি খরচ করতে হবে এবং প্রতি মাসে বিল হিসবে পরিশোধ করতে হবে ৫০ হাজার রুপি।
সম্পর্কিত বিষয়:



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: