এক ডিফেন্ডারের জন্য রিয়াল-বার্সা-বায়ার্নের কাড়াকাড়ি
প্রকাশিত:
৫ মে ২০২৫ ১০:৫২
আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ১৫:১০

মৌসুমের শেষ সময় ঘনিয়ে আসতেই শুরু হয়েছে দলবদলের নানা গুঞ্জন। জুন মাস থেকেই প্রায় দেড়মাসের জন্য চলবে ফুটবলের গ্রীষ্মকালীন দলবদল। সেই দলবদল নিয়ে এখন থেকেই বেশ সরগরম ফুটবল দুনিয়া। অন্তত জার্মান ডিফেন্ডার জোনাথন টাহকে নিয়ে ইউরোপের বড় তিন ক্লাবের দড়ি টানাটানি এখন থেকেই আলোচনার টেবিলে ঝড় তুলেছে।
জার্মান এই সেন্টারব্যাক বর্তমানে আছেন বায়ার লেভারকুসেনে। গেল মৌসুমে তাদের লিগ শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকাই রেখেছিলেন এই সেন্টারব্যাক। চলতি মৌসুমে শেষ হবে তার চুক্তির মেয়াদ। টাহ নিজেই জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারে এবার নতুন কোনো ক্লাবে যেতে চান তিনি। আর সেই নতুন ক্লাব হতে আগ্রহী তিন জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ।
বার্সেলোনা অবশ্য টাহকে নিয়ে আগ্রহী ছিল শুরু থেকেই। হ্যান্সি ফ্লিক জার্মান জাতীয় দলের কোচ থাকা অবস্থায় টাহকে পেয়েছিলেন শিষ্য হিসেবে। সেই মুগ্ধতা থেকেই বার্সেলোনাতেও আনতে চেয়েছিলেন ২৯ বছর বয়েসী এই ডিফেন্ডারকে। যদিও সেবারে তাকে দলে ভেড়াতে পারেনি কাতালুনিয়ার ক্লাবটি। লেভারকুসেনের দারুণ সাফল্য আটকে দেয় টাহ’র ট্রান্সফার।
তবে এরইমাঝে তাকে দলে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদও। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা আছে জাবি আলোনসোর। গুঞ্জন বলছে, কার্লো আনচেলত্তি দল ছাড়লে লেভারকুসেনের বর্তমান কোচ জাবি আলোনসো আসবেন রিয়ালের ডাগআউটে। আর তিনি কোচ হয়ে আসলে শিষ্য জোনাথন টাহকে নিয়েই আসতে চান বলে জানিয়েছে গোল ডটকম, মার্কাসহ একাধিক গণমাধ্যম।
এদিকে রিয়াল এবং বার্সেলোনার পাশাপাশি টাহকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। চলতি মৌসুমে ঘরোয়া লিগ শিরোপা জিতলেও ইউরোপিয়ান পর্যায়ে সেমিফাইনাল পর্যন্তই যাওয়া হয়নি বাভারিয়ানদের। নিজেদের রক্ষণের শক্তি বাড়াতে কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির মনে ধরেছে জোনাথন টাহকে।
বায়ার্ন মিউনিখ অবশ্য জার্মানদের মধ্যে সেরা তারকাদের নিয়েই দল গঠনে বেশ আগ্রহী। চলতি মৌসুমে আরেক জার্মান তরুণ ফ্লোরিয়ান ভির্টজকে দলে টানতে ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবও তৈরি করছে বায়ার্ন। যে কারণে ছেড়ে দিতে হচ্ছে অনেক খেলোয়াড়কে। যার মাঝে আছেন কোরিয়ান ডিফেন্ডার কিম মিন জায়ে।
আর মিন জায়েকে ছেড়ে দিলে ফ্রি ট্রান্সফারে দলে নতুন ডিফেন্ডার হিসেবে টাহকে পেতে চায় বায়ার্ন মিউনিখ। শেষ পর্যন্ত জার্মান এই ডিফেন্ডারের গন্তব্য ঠিক কোথায় হবে সেটা নিয়ে আলোচনা সহসা থামছে না তাও একপ্রকার নিশ্চিত বলা চলে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: