শয়তানের বংশধর বৃদ্ধি পায় যেভাবে
প্রকাশিত:
৩ আগস্ট ২০২৫ ১৭:১৫
আপডেট:
৩ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৪

শয়তান (ইবলিস) জিনদের অন্তর্ভুক্ত। শয়তানের মধ্যে পুরুষ-নারী উভয় প্রকার জিন আছে। আর তাদের সন্তানও রয়েছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—
আর যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর। অতঃপর তারা সিজদা করল, ইবলিস ছাড়া। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার রবের নির্দেশ অমান্য করল। তোমরা কি তাকে ও তার বংশকে আমার পরিবর্তে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে, অথচ তারা তোমাদের শত্রু? জালিমদের জন্য কী মন্দ বিনিময়! (সুরা কাহাফ, আয়াত : ৫০)
জিনরা মানুষের মতো একটি স্বাধীন ক্ষমতাসম্পন্ন সৃষ্টি। তাদেরকে জন্মগত আনুগত্যশীল হিসেবে সৃষ্টি করা হয়নি। বরং তাদেরকে কুফর ও ঈমান এবং আনুগত্য ও অবাধ্যতা উভয়টি করার ক্ষমতা দান করা হয়েছে।
কাতাদা বলেছেন, মানুষের মতো ইবলিসেরও সন্তান-সন্ততি হয়। কেউ কেউ বলেছেন, সে তার নিজের নিঃশ্বাস তার পশ্চাদ্দারে প্রবেশ করিয়ে দেয়। ফলে ডিম্ব সৃষ্টি হয় এবং এই ডিম্বগুলো ফেটে বিভিন্ন ধরনের শয়তান বের হয়।
মুজাহিদ (রহ.) বলেছেন, এই শয়তানগুলোর নাম হচ্ছে— জালিতুন, ওয়াসিন, লাকুস, আওয়ান, হাফফাপ, মুররাহ, মুসাব্বিত, দাসিম, ওয়ালহান।
এদের মধ্যে কে, কোন কাজে নিয়োজিত থাকে তার একটি বিবরণ তুলে ধরা হলো—
জালিতুন : বাজারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, আর নিজের পতাকা গেড়ে থাকে।
ওয়াসিন : মানুষদের আকস্মিক বিপদে ফেলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে।
লাকুস : অগ্নি পূজারিদের সঙ্গে থাকে।
আওয়ান : শাসকদের সঙ্গে থাকে।
হাফফাপ : মদ্যপায়ীদের সঙ্গে থাকে।
মুররাহ : গান-বাজনাকারীদের সঙ্গে থাকে।
মুসাব্বিত : বাজে কথাবার্তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকে।
দাসিম : ঘরের মানুষদের ভালো কাজ থেকে বিরত ও খারাপ কাজের আদেশ দেয়।
ওয়ালহান : অজু, নামাজ ও অন্য ইবাদতে কুমন্ত্রণা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: