ঈসা (আ.) নিজ সম্প্রদায়কে যে আহ্বান জানিয়েছিলেন
প্রকাশিত:
২৩ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৯
আপডেট:
২৪ জুলাই ২০২৫ ০১:২৪

মুসা (আ.) এর মতো ঈসা (আ.)-কেও বনী ঈসরাঈলের নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু অবাধ্য জাতি বনী ঈসরাঈল মুসা (আ.) এর মতো ঈসা (আ.)-এরও বিরোধিতা করেছিলো। তার আহ্বান শুনে আল্লাহ ইবাদতে মগ্ন হয়নি। ঈসা (আ.) তাদেরকে এক আল্লাহর ইবাদতের প্রতি আহ্বান করেছিলেন এবং নবী মুহাম্মত (সা.) এর আগমনের সুসংবাদ দিয়েছিলেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
وَ اِذۡ قَالَ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اِنِّیۡ رَسُوۡلُ اللّٰهِ اِلَیۡكُمۡ مُّصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیَّ مِنَ التَّوۡرٰىۃِ وَ مُبَشِّرًۢا بِرَسُوۡلٍ یَّاۡتِیۡ مِنۡۢ بَعۡدِی اسۡمُهٗۤ اَحۡمَدُ ؕ فَلَمَّا جَآءَهُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ قَالُوۡا هٰذَا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ
আর যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল, ‘হে বনী ইসরাঈল, নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল। আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমদ’। অতঃপর সে যখন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বলল, ‘এটাতো স্পষ্ট যাদু’। (সুরা সফ, আয়াত : ০৬)
ঈসা (আ.) বলেছেন, আমি যে দাওয়াত দিচ্ছি, সেটা ওই দাওয়াতই, যা তাওরাতে ছিল। আর এটা প্রমাণ করে যে, যে পয়গম্বর ঈসা (আ.) এর আগে তাওরাত নিয়ে এসেছিলেন এবং তিনি ইঞ্জীল নিয়ে এসেছেন, তাদের মূলসূত্র একটাই। কাজেই যেভাবে তারা মুসা, হারূন, দাউদ ও সুলাইমান (আলাইহিমুস্ সালাম) এর উপর ঈমান এনেছিল, অনুরূপ ঈসা (আ.) এর উপরেও ঈমান আনতে হবে। কারণ, তিনি তো তাওরাতের সত্যায়ন করছি, তার খন্ডন ও মিথ্যায়ন করছি না।
এ বলে ঈসা (আ.) তার পর আগমনকারী শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর আগমনের সুসংবাদ শুনিয়েছেন।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: