তাওয়াফের পর নামাজ পড়তে দেরি হলে কী করবেন?
প্রকাশিত:
৬ মে ২০২৫ ১৭:২৬
আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১৯:৩৭

হজ ও ওমরার সময় কাবা শরিফ তাওয়াফ করতে হয়। এটি হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ আমল। হজের সময় কাবা তাওয়াফ করা ফরজ। ওমরার সময়ও তাওয়াফ করা ওয়াজিব। ওমরার ইহরাম বাঁধার পর পবিত্র কাবাগৃহ সাতবার প্রদক্ষিণ করতে হয়। আর হজের সময় ইহরাম বেঁধে, মিনা, মুজদালিফা এবং আরাফার ময়দানে অবস্থানের পর ১০ জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবাঘর তাওয়াফ বা সাতবার প্রদক্ষিণ করা ফরজ।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমারা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)
সাত চক্কর শেষ হওয়ার পর মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দাঁড়িয়ে বাইতুল্লাহ শরিফের অভিমুখী দু রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। তাওয়াফের এই দুই রাকাত নামাজ হানাফী মাজহাব মতে ওয়াজিব।
মাকামে ইবরাহীম থেকে পেছন দিকে পড়া সুন্নত। তবে সেখানে পড়া সম্ভব না হলে হারাম শরিফের যেকোনো জায়গায়, সাফা মারওয়ায়, দ্বিতীয় তলায়, তৃতীয় তলায় কিংবা ছাদের উপরেও পড়া যাবে। এমনকি কেউ যদি মাকরূহ ওয়াক্তে তাওয়াফ শেষ হওয়ার কারণে অথবা ভুলের কারণে মসজিদে হারামের মধ্যে এই নামাজ না পড়ে, হোটেলে গিয়ে আদায় করে তাতেও অসুবিধে নেই।
আর কারো যদি নিজ দেশে যাওয়ার পরও স্মরণ হয় তাহলে সেখানেও তিনি সেই দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিতে পারবেন।
তবে মনে রাখতে হবে, এই দুই রাকাত নামাজ মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে তাওয়াফের পরপরই পড়া সুন্নত। বিনা কারণে তাওয়াফের দুই রাকাত নামাজ পড়তে দেরি করা ঠিক নয়।
তবে ওই দুই রাকাত নামাজ কোনো কারণে বিলম্বে পড়লেও কোনো দম (জরিমানা) ওয়াজিব হবে না। এমনকি কেউ ওই দু’রাকাত না পড়লেও দম ওয়াজিব হবে না। তবে ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: