সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


বিয়ে মানেই শুধু সংসার নয়, আধুনিক দাম্পত্যের নতুন ধরন!


প্রকাশিত:
১২ মে ২০২৫ ১০:৫৫

আপডেট:
১২ মে ২০২৫ ১৬:১৫

ছবি সংগৃহীত

দুজন একসঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। কখনো আইনি কাগজে সই করে, আবার কখনো সামাজিক রীতিনীতি মেনে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর শুরু হয় তাদের একসঙ্গে পথচলা-এক ছাদের নিচে, দায়িত্ব ও কর্তব্যের নানা নিয়মকানুন নিয়ে। তবে আধুনিক যুগের দম্পতিদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম অনেক সময়েই পাল্টে যাচ্ছে। নিজেদের সুবিধা ও পারস্পরিক সম্মতিতে সম্পর্কের ধরন বদলে নিচ্ছেন অনেকে।

আসুন জেনে নেই তেমন পাঁচ ধরনের আধুনিক দাম্পত্য সম্পর্কে।

বাস্তববাদী সম্পর্ক

এই ধরনের সম্পর্ক আবেগের বশে নয়, বরং বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এখানে ভালোবাসার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় পরস্পরের প্রতি সম্মান, সহায়তা এবং স্থিতিশীলতা। রোমান্টিকতা বা যৌন আকর্ষণ এই সম্পর্কের মূল উপাদান নয়। বরং সঙ্গের প্রয়োজনীয়তাই প্রধান। আর্থিক নির্ভরতা, সন্তান লালন-পালনসহ একসঙ্গে জীবন কাটানোর অঙ্গীকার এদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে।

পরীক্ষামূলক সম্পর্ক

মূল্যবান কিছু কেনার আগে যেমন ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া হয়, তেমনি এই ধরনের সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে মানিয়ে চলার সুযোগ রাখা হয়। দম্পতিরা সাধারণত ২ থেকে ৫ বছরের জন্য একসঙ্গে থাকার চুক্তি করেন। এরপরও যদি মনে হয়, একসঙ্গে থাকা সম্ভব, তবে সম্পর্কের মেয়াদ বাড়ানো হয়। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিরা এমন সম্পর্ক পছন্দ করেন, কারণ এতে আজীবন একসঙ্গে থাকার চাপ থাকে না।

দূরে থেকেও জুড়ে থাকা

এই দাম্পত্যে আবেগ, ভালোবাসা বা রোমান্সের কোনো অভাব নেই, তবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকেন। দুজনেই ব্যক্তিগত স্পেসকে গুরুত্ব দেন। এতে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা অক্ষুণ্ন থাকে, সম্পর্কের জটিলতাও কমে।

সন্তানের জন্য সম্পর্ক

কিছু দম্পতি শুধু সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই একসঙ্গে থাকেন। তাদের কাছে প্রেমের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করা। বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, মূল্যবোধ এবং পরিণত চিন্তাধারার মাধ্যমে তারা সন্তানের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেন।

ডিজিটাল দাম্পত্য

যখন শারীরিক দূরত্ব পেরিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে প্রযুক্তি। ভিডিও কল, মেসেজিং এবং ভার্চুয়াল মাধ্যমে আবেগের আদান-প্রদান হয়। কাজের শেষে ভিডিও কল চালু রেখে দৈনন্দিন কাজ করা এখন নতুন স্বাভাবিক। অতিমারির পর এই ধরনের সম্পর্কের প্রবণতা বেড়েছে।

আধুনিক দম্পতিরা চিরাচরিত নিয়মে বেঁধে থাকার চেয়ে স্বাধীনভাবে সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে চান। জুড়ে না থেকেও পাশে থাকার মানসিকতা তাদের সম্পর্ককে স্থিতিশীল রাখে। দায়বদ্ধতার কোনো বাঁধা ছক নয়, বরং সহমর্মিতা ও পারস্পরিক সমঝোতাই তাদের সম্পর্কের ভিত্তি।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top