পরস্পরকে ‘চোর’ আখ্যা তৃণমূল-বিজেপির, বিজেপির ৬ বিধায়ক বহিষ্কার
পাল্টাপাল্টি স্লোগানে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল
প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১৩
আপডেট:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:০০

বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রস্তাব ঘিরে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তুমুল হট্টগোল হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল প্রস্তাবটি পেশ করলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। উভয় দলের বিধায়করা পরস্পরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু হলে অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান শুভেন্দু অধিকারীসহ দলটির ৬ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা তার বক্তব্যে বলেন, বিজেপি বাংলাবিরোধী। তারা দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে। তারা জনগণের কণ্ঠ শুনতে চায় না। এরপরই বিজেপি বিধায়করা তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য করে ‘জেনে গিয়েছে জনতা, আসল চোর মমতা’ স্লোগান শুরু করেন। তৃণমূল বিধায়করাও পাল্টা শুরু করেন ‘গদি চোর, বিজেপি চোর। বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান।’ স্লোগান দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বিরোধী বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রীকে ভাষণ দেওয়ার সময় শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিজেপি বিধায়করা স্লোগান থামাননি। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ শঙ্কর ঘোষকে দিনের বাকি সময়ের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত না হলে বহিষ্কার করা হয় শুভেন্দু অধিকারীসহ আরও পাঁচজনকে।
বিজেপি বিধায়করা অভিযোগ করেন, তাদের দিকে তৃণমূলের বিধায়করা পানির বোতল ছুঁড়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কদের দাবি, বিজেপির লোকেরা তাদের দিকে কাগজ ছুঁড়ে মারেন।
অবশেষে বাংলাভাষীদের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করে মমতা বলেন, ‘বিজেপি বাংলাবিরোধী। এরা বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা চায় না। তারা বাঙালিবিরোধী। এরা সবথেকে বড় দুর্নীতিবাজ ও ভোট চোর। আর নেই দরকার ভোট চোরের সরকার, আর নেই দরকার মোদির সরকার। বিজেপি বাংলা ভাষাকে অপমান করার দল। মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না। দেশ যখন স্বাধীনতার লড়াই করছিল, তখন ওরা ইংরেজদের দালালি করছিল।’
পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিধানসভায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা এবং তিক্ততা বাড়িয়ে দিতে পারে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: