রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কিম জং উনের ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’
প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৫ ১৯:১৭
আপডেট:
১২ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫৪

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। খবর আল-জাজিরার।
শনিবার(১২ জুলাই )রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় জানায়, উত্তর কোরিয়ার উপকূলীয় শহর ওনসানে কিম জং উন ল্যাভরভকে ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ জানান। ভিডিওতে তাদের করমর্দন ও আলিঙ্গন করতে দেখা যায়।
এটি হচ্ছে মস্কোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় আরও একটি উচ্চপর্যায়ের সফর, যা রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সামরিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধে ৬,০০০ এর বেশি উত্তর কোরিয়ান সেনা নিহত হয়েছে। উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার সেনা ও প্রচলিত অস্ত্র পাঠিয়েছে, বিশেষ করে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনর্দখলের অভিযানে সহায়তা করতে।
শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় পুনর্গঠন কাজে অংশ নেওয়ার জন্য ৬০০০ সামরিক প্রকৌশলী ও নির্মাণকর্মী পাঠানোর চুক্তিও করেছে উত্তর কোরিয়া ।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক করেছে যে জুলাই-আগস্টে উত্তর কোরিয়া আরও সৈন্য পাঠাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে এই সামরিক সহায়তার বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তি, এমনকি পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
এদিকে ল্যাভরভ ও উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই-এর মধ্যে শনিবার ওনসানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেন সংকট নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। কোরিয়ান বন্ধুরা রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সকল লক্ষ্য এবং পদক্ষেপে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার ‘বীর সেনাদের’ প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গত বছর নভেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরল উত্তর কোরিয়া সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি সামরিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়, যাতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা-এর ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার রাতে এক ভাষণে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা পুনরায় চালু করেছে। এর আগে নিজস্ব মজুদ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় পেন্টাগন সাময়িকভাবে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করেছিল।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: