আস্তাকুঁড়ে ৬-৭ ঘণ্টা কাটিয়েছেন রাশমিকা, ধানুশ
প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২৫ ১৭:১৭
আপডেট:
১৬ জুন ২০২৫ ০১:০৩

মুম্বাইয়ের একটি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘কুবের’ ছবির তৃতীয় গান ‘পিপ্পি পিপ্পি দম দম দম’। গান মুক্তির অনুষ্ঠানে দক্ষিণ থেকে উড়ে এসেছিলেন ধানুশ, রাশমিকা, নাগার্জুন আক্কিনেনি। শেখর কমুল্লা পরিচালিত সামাজিক থ্রিলার ছবিটিতে জুটি বেঁধে আসতে চলেছেন ধানুশ ও রাশমিকা।
আরও আছেন নাগার্জুন, জিম সরাভ আর দলীপ তাহিল। গান মুক্তির আসরে শিল্পীদের সবাই উপস্থিত ছিলেন। ‘কুবের’ ছবিটি করার কারণ জানতে চাওয়া হলে রাশমিকা বলেন, ‘শেখর স্যার আর ধানুশের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম। আর তাই এ ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলাম।’
ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্রের প্রসঙ্গে রাশমিকা বলেছেন, ‘কখনো হতে হয় গীতাঞ্জলি (‘অ্যানিমেল’), কখনো আবার শ্রীবল্লি (‘পুষ্পা’), আবার কখনো এই চরিত্র। সত্যি বলতে এ ধরনের চরিত্রে আমি আগে কখনো অভিনয় করিনি। নিজেকে পুরোপুরি পরিচালকের কাছে সমর্পণ করেছিলাম, আর এখানেই ছবির আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। প্রত্যেক পরিচালকের নিজস্ব দর্শন থাকে। আর তাই আমি এত ভিন্ন ভিন্ন আর মজার চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাই। আমি এ জন্য সব সময় কৃতজ্ঞ।’
ছবিতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কী ছিল? এ প্রসঙ্গে রাশমিকা বলেন, ‘আবর্জনার স্তূপের মধ্যে আমি আর ধানুশ স্যার ৬-৭ ঘণ্টা শুট করেছিলাম। এই অভিজ্ঞতা আমাদের এক অন্য দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল। আমাদের সবার চোখ খুলে দিয়েছিল। শেখর স্যার আসল লোকেশনে শুট করতে বেশি পছন্দ করেন। ক্যামেরা ধরে ছুটতে ছুটতে তিনি শট নেন। আমরা মনিটর পর্যন্ত দেখার সুযোগ পাই না।’
ধানুশ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ছয় ঘণ্টার বেশি আস্তাকুঁড়ে শুট করেছিলাম। তবে রাশমিকার একদমই কোনো সমস্যা হয়নি। এমনকি ও কোনো রকম বাজে গন্ধ পায়নি বলে জানিয়েছিল। যাহোক, আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। তবে কোনো সমস্যা হয়নি। এই ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। আর প্রতিটি অভিজ্ঞতা আপনাকে নতুন কিছু শেখায়।’ নিজের অভিনীত চরিত্রের প্রসঙ্গে এই দক্ষিণি তারকা বলেন, ‘ছবিতে আমি এক ভিখারির চরিত্র করেছি। এই প্রথম এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলাম। এ জন্য প্রচুর গবেষণা আর হোমওয়ার্ক করেছি। চড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকতাম। এ সবকিছু মিথ্যা (সশব্দে হেসে)। আমি কিছুই করিনি। আমি শুধু শুটিংস্থলে যেতাম। আর আমার পরিচালক শেখর স্যার যা বলতেন, মেনে চলতাম। তিনি পরিচালক হিসেবে দুর্দান্ত।’
নাগার্জুনের সঙ্গে কাজ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ‘নাগ স্যারের সঙ্গে কাজ করতে আমি দারুণ ভালোবাসি। তাঁর সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় প্রকল্প। তিনি পরিশ্রম না করেও এত সুন্দর পারফর্ম করেন, দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তিনি ছবিটা দেখে আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন, এটা আমার জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত।’ এদিকে ধানুশের প্রশংসা করে রাশমিকা বলেন, ‘ধানুশ স্যার অত্যন্ত সাবলীলভাবে সবকিছু করেন। তাঁর ১০ শতাংশ হওয়ার জন্য আমাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।’
নাগার্জুনের গলায়ও ঝরল রাশমিকার প্রশংসা। দক্ষিণি এই তারকা বলেন, ‘রাশমিকা প্রতিভার পাওয়ার হাউস। গত তিন বছর দুর্দান্ত সব কাজ করেছে ও। তার সব ছবি ২-৩ হাজার কোটি রুপি ব্যবসা করে। ও আমাদের সবার থেকে ভালো। ও অত্যন্ত পরিশ্রমী। আমি ডাবিং থিয়েটারে বসেই ফোন করে ওর প্রশংসা করেছিলাম। ও পর্দায় এলে দর্শকের মুখে হাসি ফোটে। এই ছবির অংশ হওয়ার জন্য ওকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
রাশমিকার ঝুলিতে আছে ‘পুষ্পা’, ‘অ্যানিমেল’, ‘ছাবা’র মতো ব্লকবাস্টার ছবি। তাঁকে এখন ভারতীয় ছায়াছবির এক নম্বর অভিনেত্রী বলা হচ্ছে। এক নম্বর অভিনেত্রী হওয়ার চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সবে শুরু করেছি। তাই আমি এই এক নম্বর হওয়ার চাপ বুঝতেও পারছি না। আমি শুধু এটুকু জানি যে আমি এখন শিখছি। আমি দক্ষিণ, বলিউড সর্বত্র কাজ করছি, এখনো অনেক কিছু শেখার বাকি আছে।’
‘কুবের’ মুক্তি পাবে ২০ জুন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: