সুখবর পাচ্ছেন ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা
প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১২:৫৫
আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২২

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই সংক্রান্ত সুখবর আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
গত ১৩ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অংশ নিয়েছিলেন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) নেতারা। এই মতবিনিময় ছিল সচিবের অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার মাত্র দুই দিন আগে।
সচিব জানান, অনেক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা ২০০৬ সালের আগেই সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে, কিন্তু তারপরও তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকেই এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোর এমপিওভুক্তির সারসংক্ষেপ ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার টেবিলে জমা দেওয়া হয়েছে। যদি প্রধান উপদেষ্টা দেশের বাইরে না যেতেন, তাহলে হয়তো গত ক'দিনের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যেত। এখন আশা করা হচ্ছে, অনুমোদন আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আসবে।
সচিব জানান, নতুনভাবে বেসরকারি মাদরাসার জন্য জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং তা উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এটি যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপে নতুন এমপিওভুক্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, আমি আসার পর থেকেই ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোর এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু শেষ সময়ে এসে সাইন করে যেতে পারলাম না। সারসংক্ষেপ অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যদি কাল হয় ভালো, না হলে আগামী সপ্তাহেই আশা করছি হয়ে যাবে।
শুধু এমপিও নয়, অবকাঠামো উন্নয়নেও বড় পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব। তার ভাষায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনও অনেক মাদরাসায় সুষ্ঠু ভবন নেই। নতুন একটি প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার মাদরাসায় ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, ৬ হাজার ৩৮৯টি মাদরাসা ভবনবিহীন। এর মধ্যে ৩ হাজার ২২টি একেবারেই কোনো ভবন পায়নি। আর ৩ হাজার ৩৫৯টি মাদরাসা ২০০৬ সালের আগে ভবন পেলেও, গত সরকারের সময়ে তারা আর কিছু পায়নি। এসব মাদরাসাকে নতুন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পটি ইতোমধ্যে সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং পরিকল্পনা কমিশন এরই মধ্যে সম্মতি দিয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: