পদ্মার ভাঙন ঝুঁকিতে দৌলতদিয়ার ফেরিঘাট
প্রকাশিত:
৪ আগস্ট ২০২৫ ১২:২৭
আপডেট:
৪ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৮

বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে গত সপ্তাহে ফেরিঘাট সংলগ্ন কয়েকটি বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়ার সবকটি ফেরিঘাট। এছাড়া ঘাট সংলগ্ন তিনটি গ্রাম, বাজার, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসাসহ বহু স্থাপনা ঝুঁকিতে রয়েছে।
জরুরি মেরামতের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ফেরি ঘাট রক্ষায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরী নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয় জানায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরি ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৪ ও ৭নং এই তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। কয়েক বছর আগে ১, ২ এবং ৫নং এই তিনটি ঘাট নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। আর ৬নং ঘাট ঠিক থাকলেও তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। বর্ষায় পানির স্তর মিডওয়াটার থেকে হাইওয়াটারে এলে তখন ঘাটটি সচল হবে।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় ৩, ৪ ও ৭নং ফেরি ঘাট ভাঙন ঝুঁকিতে পড়ে। এর মধ্যে ৪ এবং ৭নং ফেরি ঘাট রয়েছে অধিক ঝুঁকিতে। ঘাট সংলগ্ন বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া, মজিদ মাতুব্বর পাড়া ও শাহাদত মেম্বার পাড়াসহ বাজার, মসজিদ, স্কুলসহ একাধিক স্থাপনা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা আজিজুল মন্ডল বলেন, পদ্মার ভাঙনে বিলীন হতে হতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মানচিত্র ছোট হয়ে আসছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা বিআইডব্লিউটিএ কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে ভাঙতে থাকলে রাজবাড়ীর মানচিত্র থেকে দৌলতদিয়া মুছে যাবে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, পদ্মার ভাঙনে দৌলতদিয়ার ফেরিঘাটগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে আমরা বিআইডব্লিউটিএকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনটি ঘাট সচল থাকলেও ভাঙন আরও বৃদ্ধি পেলে যানবাহন এবং যাত্রী পারাপার ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফেরিঘাটের দুই কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দেয়। ৪ এবং ৭নং ঘাট অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ জরুরি মেরামত এবং সংরক্ষণ কাজের অংশ হিসেবে তিন দিনে প্রায় সাতশ বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। তবে ফেরি ঘাটের মধ্যবর্তী এলাকায় বস্তা ফেলানো হয়নি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ মিললে বাকি কাজ করতে পারব।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: