ঢাকার কিছু এলাকায় ভবন নির্মাণে ফ্লোর এরিয়া রেশিও বাড়ছে
প্রকাশিত:
১০ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৪৩
আপডেট:
১০ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৫৭

রাজধানীর ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন পরিকল্পনায় এলাকাভিত্তিক ও আবাসিক ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) বর্তমানের তুলনায় সর্বোচ্চ দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এর ফলে কিছু এলাকায় অধিক উচ্চতার ভবন নির্মাণের সুযোগ তৈরি হবে।
রাজউক সূত্র জানায়, সংশোধিত ড্যাপে ঢাকা শহরকে ৬৫টি জনঘনত্ব ব্লকে ভাগ করে নতুন এফএআর নির্ধারণের কাজ চলছে।
রোববার (১০ আগস্ট) ড্যাপ সংশোধন এবং ‘ঢাকা ইমারত বিধিমালা-২০২৫’ চূড়ান্ত করা হবে।
ইতোমধ্যে রিহ্যাব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব প্ল্যানার্স, রাজউক ও উপদেষ্টা পরিষদের মতামত নিয়ে খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। কমিটির অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
৩ আগস্ট গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে বৈঠক হয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হবে।
রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, জমির মালিক ও ডেভেলপারদের চাহিদা এবং ভবিষ্যৎ প্রয়োজন বিবেচনায় এফএআর বাড়ানো হচ্ছে। এতে কম জমিতে বেশি আয়তনের ভবন নির্মাণ সম্ভব হবে, ছোট প্লটে ভবন নির্মাণের আগ্রহ বাড়বে এবং ফ্ল্যাটের দাম কমতে পারে।
তবে নগর পরিকল্পনাবিদদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এফএআর বাড়ানো নগরের ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের মতে, নীতিমালা সবার স্বার্থে হওয়া উচিত, কেবল সুবিধাভোগীদের জন্য নয়।
এফএআর কী?
ফ্লোর এরিয়া রেশিও হলো একটি প্লটে মোট কতটুকু ফ্লোর স্পেস তৈরি করা যাবে তার অনুপাত। যেমন, ১,০০০ বর্গফুট জমির এফএআর ১.৫ হলে মোট ফ্লোর স্পেস হবে ১,৫০০ বর্গফুট।
সেই প্লটে পাঁচতলা ভবন হলে প্রতিটি তলার আয়তন হবে ৩০০ বর্গফুট।
নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, এফএআর শহর পরিকল্পনা এবং ভবন নির্মাণের ঘনত্ব ও উচ্চতা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সংশোধিত ড্যাপে ‘সেটব্যাক এলাকা’ ২৫–৪০% রাখা হবে, অর্থাৎ প্লটের ওই অংশ ফাঁকা রাখতে হবে। এছাড়া আলো-বাতাস নিশ্চিত করতে দুটি ভবনের মধ্যে ন্যূনতম ৭২ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বের প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে আবাসন ব্যবসায়ীরা এই মান আরও শিথিল করার দাবি জানাচ্ছেন।
২০২২ সালের ২৪ আগস্ট কার্যকর হওয়া বর্তমান ড্যাপ ঘোষণার পর থেকেই আবাসন কোম্পানি ও জমির মালিকরা এর সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: