৬৬ কোটির মুকুট, প্রাইভেট জেট— বিজয়ী হলে যা পাবেন মিথিলা
প্রকাশিত:
১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:২৮
আপডেট:
১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৫
মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই আসরে তিনি কেবল নিজের সৌন্দর্যই নয়, বরং বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরছেন বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি এখন ‘পিপলস চয়েস’ বা জনপ্রিয়তার বিভাগে শীর্ষস্থানের খুব কাছাকাছি।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জনপ্রিয়তার বিচারে ১ নম্বর স্থানটি দখল করতে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর মাত্র ১৪,০০০ ভোট। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পক্ষে এখন পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার ভোট পড়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য এক নজিরবিহীন ঘটনা।
তবে সময় খুবই অল্প। আজ ১৯ নভেম্বর রাতেই শেষ হচ্ছে ভোট গ্রহণের সময়। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে। আয়োজক ও সমর্থকদের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিথিলাকে ভোট দেওয়ার এবং ইতিহাস গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজয়ীর মাথায় উঠবে যেসব মুকুট ও পুরস্কার
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক দেখা এই বিউটি প্যাজেন্টের বার্ষিক বাজেট প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। যদি তানজিয়া জামান মিথিলা বা কোনো প্রতিযোগী এই আসরে বিজয়ী হন, তবে তার জীবনযাত্রা আমূল বদলে যাবে। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন বিজয়ীর জন্য রাজকীয় সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে থাকে।
মিস ইউনিভার্স আসরের বিজয়ী ৫.৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৬ কোটি টাকা) মূল্যের একটি হীরাখচিত মুকুট পরার সুযোগ পাবেন। ‘ফোর্স ফর গুড’ নামের এই মুকুটটি প্রায় এক হাজার হীরা এবং নীলকান্তমণি দিয়ে সজ্জিত।
মিস ইউনিভার্সকে এক বছরের বেতন হিসেবে নগদ আড়াই লাখ ডলারের চেক দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটিরও বেশি।
বিজয়ী এক বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকার সুযোগ পান। যুক্তরাষ্ট্রের মিস ইউনিভার্স বিজয়ীরা সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগও পেয়ে থাকেন।
পরবর্তী এক বছর বিজয়ীর খাওয়া, পোশাক, প্রসাধনসামগ্রী, বাজার করা বা রান্নাবান্না—কোনো কিছু নিয়েই চিন্তা করতে হয় না। এই সব খরচ বহন করে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভ্রমণের জন্য বিজয়ীকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ (প্রাইভেট জেট) দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তিনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
প্রতিটি সফরের হোটেল খরচ, খাওয়া, ফটোশুট বা প্রেস মিটিংয়ের সমস্ত আয়োজন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।
বিজয়ীকে মিস ইউনিভার্সের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাতব্য কাজে অংশ নিতে হয়। এর বাইরে তিনি কোনো কনসার্ট, ফ্যাশন শো, অ্যাওয়ার্ড শো বা পার্টিতে যেতে চাইলে কর্তৃপক্ষ ভিআইপি প্রটোকলে সব ব্যবস্থা করে দেয়।
এককথায়, মিস ইউনিভার্স বিজয়ী পরবর্তী এক বছর স্বপ্নের মতো জীবনযাপনের সুযোগ পান। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের কোটি মানুষের ভোটে মিথিলা সেই স্বপ্নের মুকুট জয় করতে পারেন কি না।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: