কুয়েট কর্মচারী ও মাদক কারবারির বাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ
প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৮
আপডেট:
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২০:২০
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কর্মচারী ও মাদক কারবারির বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোররাতে প্রথমে মহেশ্বরপাশা খুঠিরঘাট এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি কানা মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান ও পরে কুয়েট কর্মচারী মহসিন শেখ লিটুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
এর মধ্যে কুয়েট কর্মচারী মো. মহসিন শেখ লিটুর বাড়িতে ৬ রাউন্ড এবং কানা মেহেদীর বাড়িতে ৯ রাউন্ড গুলি করা হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছেন হামলার শিকার দুই বাড়ির সদস্যরা। তবে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।
মেহেদী হাসানের বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, চারটি মোটরসাইকেলে মাথায় হেলমেট পরিহিত বেশ কিছু যুবক বাড়ির প্রধান ফটকের একটু সামনে দাঁড়ায়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে কয়েকজন প্রধান ফটক দিয়ে মহসিনের রুম লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। দুর্বৃত্তরা গুলি ছোঁড়ার পর পর দ্রুত পালিয়ে যায়।
কুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের (আইডিএম) ডাটা প্রসেসর মো. মহসিন শেখ লিটু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে ছিলাম। ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে বাড়িতে গুলি হয়। তখন বাড়িতে আমার স্ত্রী-সন্তানরা ছিল। কারও ক্ষতি হয়নি। তবে জানালার গ্লাস ভেঙে গেছে। এ ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন চাকরিজীবী। আমার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। তবে হঠাৎ করে কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তা বুঝতে পারছি না। পরে শুনেছি আরও একটি বাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছে।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়েটের কর্মচারী মহসিন লিটুর বাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে মেহেদীর বাড়িতেও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় লিটুর বাড়ির সামনে থেকে ৬ রাউন্ড এবং মেহেদীর বাড়ির সামনে থেকে ৯ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্ৰেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিহ্নিত মাদক কারবারি কানা মেহেদীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: