হিজাব ইস্যুতে শিক্ষিকা বরখাস্ত, উত্তাল ভিকারুননিসা
প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট ২০২৫ ১৭:০৯
আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ০১:৫১

হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আন্দোলন করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তারা বরখাস্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে পুনর্বহাল, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা এক নোটিশে ফজিলাতুন নাহারকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্কুলের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির (অস্থায়ী কমিটি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও তাকে কেন চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ জানাতে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
তবে ফজিলাতুন নাহার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
আন্দোলনরত নবম শ্রেণির একজন ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরতে বলেছিলেন। প্যানেল শিক্ষার্থী যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন, তারা শেষ পিরিয়ডে ওই ক্লাসে গেলে আপা তাদের বলেছিলেন, বাইরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। প্যানেল ছাত্রীরা ড্রেসকোড না মানা ছাত্রীদের বাইরে নিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট কথা বলেন। এসময়ের জন্য আমাদের শিক্ষককের নামে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল, অপপ্রচারকারীদের শাস্তি চাই।’
দশম শেণির একজন ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি ছাত্রীদের ড্রেসকোড মানতে বলেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
হিজাব পরায় ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার বলেন, ‘আমি এই কাজটা করিনি। আর এই ক্লাসে ২২ জন মেয়ে হিজাব পরে না। ৯ বা ১১ জন পরে। আমি মেয়েদের বলেছি তোমরা হিজাব পরে স্কুলে আসবা।’
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভিকারুনসিনা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, ‘অ্যাডহক কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আমার তদন্ত করে তদন্তের রিপোর্টর ওপর বেজ করে আবার একটা সমাধান করবো।’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: