বিএনপিকে নির্মূল করতে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার : রিজভী
প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২১ ২৩:৫৪
আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১৬:৫৫
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যা ঘটেছিল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর এত তদন্ত হয়েছে, বিচারও হয়েছে। কিন্তু এখনও সে ঘটনা নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সামনে আনা হচ্ছে অত্যন্ত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলকভাবে। বিএনপিকে নির্মূল করতে এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার।
সোমবার (১৬ আগষ্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত করোনা হেল্প সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় করোনা পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত দেড় বছরে সরকার মানুষ বাঁচাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। হাসপাতালে অক্সিজেন নেই, আইসিউ নেই, ভেন্টিলেটর নেই। নেই কোনো চিকিৎসা। এসব ব্যবস্থা না করে দলীয় নেতা-কর্মীদের উল্টো দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এখন দেখা যাচ্ছে গণটিকা নিতেও টাকা লাগে। দলীয় নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও টিকা দিতে গেছে।
তিনি বলেন, টিকা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা ‘গলাবাজি করছে’। এই যে টিকা আনা হয়েছে, তার পেছনে কিন্তু সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। বাংলাদেশি আমেরিকান কয়েকজন চিকিৎসক বাইডেন প্রশাসনে কর্মরত আছেন। তারা লবিং করে বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এখন কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমরা কোটি কোটি টিকা ফ্রি পাচ্ছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আরো টিকা আসবে। সেই টিকাই এখন দেওয়া হচ্ছে, গণটিকা দেওয়া হচ্ছে। এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মতো এমন নির্যাতনকারী সরকার কোথাও নেই। শুধু মিথ্যা মামলা নয়, গুম-খুন নয়, জীবননাশের হুমকি রয়েছে পদে পদে। যে দেশে গুম-খুন বিচারবহির্ভূত হত্যা নিত্যদিনের চিত্র, জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে দেশের বিরোধী দল সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করা অত্যান্ত দুরূহ ব্যাপার। আমাদের নেতাকর্মীরা নিজেদের পকেট থেকে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন। আমাদের কাছে সরকারি কোনও অর্থ ত্রাণ নেই। তারপরও আমরা কেউ বসে নেই। আমরা সঙ্গতি অনুযায়ী সারা দেশে কেন্দ্র থেকে শুরু করে, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রত্যেকে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে কাজ করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, উকিল আব্দুস সাত্তার এমপি, সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি, ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালামসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সম্পর্কিত বিষয়:
রিজভী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: