শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


নুসরাত জাহানের মৃত্যু, পলাতক স্বামী গ্রেফতার


প্রকাশিত:
১৬ জুন ২০২১ ১৬:২৩

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ০৪:২৩

ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে ছাত্রলীগ নেত্রী নুসরাত জাহানের (২৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী মো. মিল্লাত মামুনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

একইদিন রাতে র‍্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নুসরাত জাহান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব-২ এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে। মঙ্গলবার দুপুরে কল্যাণপুর বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত ১২ জুন বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে প্রতিবেশীদের ফোন পাওয়ার পর বাসার দরজা ভেঙে নুসরাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে বিসিএস (পুলিশ) কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া নুসরাতের স্বামী মামুন মিল্লাত পলাতক ছিলেন।

গ্রেফতার মো. মিল্লাত মামুন ২০১৯-এর বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে নুসরাত জাহানকে প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনশি জানিয়ে ছিলেন, পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে বি-২ নম্বর কোয়ার্টারে সাবলেটে নুসরাতকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন মামুন। শনিবার (১২ জুন) বেলা ১১টা পর্যন্ত মামুন বাসায় ছিলেন। এরপর তিনি বাইরে চলে যান। ঘণ্টা দেড়েক পর প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে নুসরাতের সাড়া পাননি। সন্দেহজনক মনে হলে এক প্রতিবেশী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় নুসরাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশ পাঠানো হয়।

আদিবাসী নারী নুসরাতের আগের নাম নিবেদিতা রোয়াজা, বাড়ি খাগড়াছড়িতে। সেখানে ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে মামুনকে বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন তিনি।

বিয়ের সময় নিজেকে ৩৮তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েছিল মামুন। বিয়ের পর নুসরাত জানতে পারেন মামুন পুলিশ কর্মকর্তা নন। তিনি একজন ঠগ।

প্রতিবেশীরা জানান, তিন মাস ধরে ওই দুজন সাবলেট ভাড়া থাকেন। মাঝেমধ্যেই তারা তাদের ঝগড়া শুনতেন। ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া নিয়েই তাদের মধ্যে কলহ ছিল বলে ধারণা তাদের। মেয়ের মৃত্যুর পর শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন নুসরাতের বাবা রত্ন কান্তি রোয়াজা।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মামুন। পরে ধর্মান্তরিত করে আমার মেয়েকে বিয়ে করে সে। বিয়ের কিছুদিন পর মেয়ে তাকে শারীরিক নির্যাতনের কথা জানায়। সে আরও জানায়, তার স্বামী জুয়ার নেশা ও পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। ঘটনার দিন সকাল ১০টায় আমাকে ফোন করে মেয়ে জানায়, তার স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে এবং হত্যার হুমকি দিয়েছে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ফোন করে মেয়ের আত্মহত্যার খবর জানায়।’


সম্পর্কিত বিষয়:

পুলিশ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top