হাসিনার পতন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না: ফারুক
প্রকাশিত:
২৩ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫:৩৬
আপডেট:
২৩ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫:৪৫

বিএনপির নেতা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, শেখ হাসিনার পতন শুধুমাত্র জুলাই-আগস্ট আন্দোলনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি দাবি করেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং গণতান্ত্রিক দলগুলো একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তারা জেল, জুলুম, হামলা, মামলার মোকাবিলা করেছে এবং রাতে ঘুম না হয়েই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ফোরামের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। সভাটি ছিল জনগণের ওপর অযৌক্তিক ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে।
ভারতের রাষ্ট্রমন্ত্রী জয় শংকরের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, "বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আপনি আর মাথা ঘামাবেন না। অতীতে শেখ হাসিনার স্বার্থে যেটা করেছেন, এখন সে সময় নেই। বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে ন্যায্য দাবি আপনাকে দিতে হবে, আর তালবাহানা চলবে না।"
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর "জিয়াবাদ" ও "মুজিববাদ" নিয়ে মন্তব্যের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, "জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশের মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, এবং সার্ক গঠন করেছেন। তার সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করা উচিত নয়।"
ফারুক আরও বলেন, "আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি এবং আশা করি, ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, যেখানে সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে এবং দেশের সংস্কার হবে। তবে ষড়যন্ত্র করে ১/১১-এর মতো বিলম্বিত করার সুযোগ আর হবে না।"
বিএনপির নেতা জানান, দলের কোনো কর্মীও এত বছরেও আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি, যা প্রমাণ করে বিএনপি খাঁটি গণতান্ত্রিক দল। তিনি বলেন, "আমরা গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব।"
তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবে না, কারণ এটি শেখ হাসিনার পেতাত্মাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে।"
ফারুক আরো বলেন, "বাংলাদেশে আর সিন্ডিকেট ব্যবসা হবে না, আর আইনের শাসন ও বিচারকে প্রহসন বানানো হবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়ব যেখানে দুর্নীতি থাকবে না এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।"
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: