বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

Rupali Bank


অমর একুশের পটভূমি, চেতনা ও তাৎপর্য


প্রকাশিত:
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:১৯

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৮

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির

বাঙালির ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে মহান এক সৃষ্টি একুশ। একুশ একটি অনুভূতি, বৈশ্বিক নিশান ও মহান বিপ্লবের নাম। ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষার সম্মান রক্ষার্থে জীবনোৎসর্গের অনন্য এক ইতিহাস একুশ। একুশ বাঙালি জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে স্বতন্ত্র এক মর্যাদায়, যার চেতনায় উজ্জীবিত আজ সারাবিশ্ব। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি ভাষার মর্যাদাকে যেমন করেছে প্রতিষ্ঠিত, সারাবিশ্বে বাঙালিকে করেছে গর্বিত।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পরই শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক একুশের পটভূমি তৈরি হতে থাকে। পশ্চিমাদের দ্বারা পূর্বদের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার নীল নকশায় বাংলা ভাষার ওপর নগ্ন হামলা ও বাঙালির রুখে দেয়ার কালজয়ী দিবসের নাম একুশ ফেব্রুয়ারি। নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জাতিকে দুর্বল করতে, তদানীন্তন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলা হওয়া সত্বেও পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী গায়ের জোরে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষায় রূপ দিতে নগ্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা” ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর এমন ঘোষণার প্রতিবাদে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্রসমাজ।

দিন যতই অতিবাহিত হয় ভাষার দাবিতে প্রতিবাদ ততই জোরালো হয়ে ওঠে। ১৯৫২ এর ২৬ জানুয়ারি তদানীন্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন জিন্নাহর ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করলে শুরু হয় সরকার ও ছাত্রসমাজের মধ্যে তুমুল লড়াই। এমন প্রেক্ষাপটে, মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয় উঠে দেশপ্রেমিক বাঙালি জাতি। গড়ে তোলে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
ছাত্র সমাজের আহ্বানে ২১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটে মিছিল-মিটিংয়ের উপর শাসকগোষ্ঠী ১৪৪ ধারা জারি করে। সংগঠিত ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা আরও অনেকে। শহিদের আত্মত্যাগ আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তুলে। রক্তাক্ত একুশের স্মৃতিকে ভাস্বর করতে গড়া হয় শহিদ মিনার। যা বাংলার জাতীয় জীবনের এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। তখন থেকে দিনটিকে বাঙলী শহীদ দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে শহীদ দিবস জাতীয় দিবসের মর্যাদায় পায়। বাঙালির আত্মত্যাগের সুমহান ইতিহাস বিশ্বব্যাপী সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া ২০১০ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতির মাধ্যমে মাতৃভাষার জন্য বাঙালীর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ বিশ্ব-পরিম-লে বিশেষ মর্যাদা লাভ করে।

একুশের ভাষা আন্দোলন প্রধানত চারটি স্লোগানের ভিত্তিতে প্রকাশ পেয়েছিল। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, রাজবন্দীদের মুক্তি চাই, শহীদ স্মৃতি অমর হোক এবং সর্বস্তরে বাংলা চালু কর। প্রতিটি স্লোগান বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর জন্য তাৎপর্যম-িত। আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাজনীতি ঘিরে গণতন্ত্রের চর্চা ও অধিকার রক্ষার মতো বিষয়াদি যা তৎকালীন উপনিবেশ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ছিলো দুর্লভ। সে সময়কার পাকিস্তানের অগণতান্ত্রিক দুঃশাসনে জেলখানাগুলো ভরে উঠেছিল গণতন্ত্রী ও প্রগতিশীল রাজবন্দীদের দিয়ে। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে ভাষাসংগ্রামীরা সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি করেছে। জনগোষ্ঠীর স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এ দাবির ক্ষেত্রে সম্প্রদায় বিভাজনের কোনো প্রশ্ন ছিল না। প্রেক্ষাপটে ছিল ভাষিক বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক স্বার্থ।

আত্মত্যাগের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মানুষ নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়। একুশ তেমনি একটি চেতনা যা বাঙালির অধিকার আদায়ের মূলমন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের বহিঃপ্রকাশ বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন সময়ের দাবিতে রূপ নিয়েছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে। একুশের চেতনারই পরিণত রূপ হলো ১৯৭১ সালের বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম ও অর্জিত স্বাধীনতা।

একুশ কেবল ঐতিহাসিক দিবস নয়, এর তাৎপর্য ব্যাপক ও গভীর। একুশ বাঙালির চিন্তা চেতনায় দিয়েছে স্বচ্ছতা, জাতীয় সংকটে দিয়েছে যথার্থ পথ নির্ধারণের শিক্ষা, শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে করেছে উদ্বুদ্ধ। একুশ বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও স্বাধীনতা নিয়ে জাতিকে বাঁচতে শিখিয়েছে বীরদর্পে।
একুশ বাঙালির সাংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ। একুশের সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যাপক প্রসার ঘটেছে বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি। সৃষ্টি হয়েছে কালজয়ী গান, কবিতা, নাটক, চলচ্চিত্র। ক্রমাগত বিকাশ লাভ করে চলেছে বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির ধারা। একুশের চেতনায় ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। প্রতিবছর বাংলা একাডেমির আয়োজনে অমর একুশের বইমেলা বাঙালীর জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা, গবেষণা ও বিকাশে এ প্রতিষ্ঠান অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।

পাকিস্তানিদের অপচেষ্টার মধ্যে ছিল বাংলা বর্ণমালা তুলে দিয়ে বাংলা ও উর্দু মিলে নতুন ভাষা তৈরি করা। রবীন্দ্রনাথকে বর্জন, নজরুল সাহিত্যকে খ-িতকরণ। সর্বোপরি, বাংলা সাহিত্যকে পাকিস্তানিকরণ ইত্যাদি। একুশ, পাকিস্তানিদের সকল হীনচক্রান্তকে প্রতিহত করেছে। একুশের চেতনায়, বাংলার সাধারণ মানুষ ও প্রগতিশীল ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিকের বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। বাংলার গন্ডি পেরিয়ে ‘একুশ’ ঠাঁই করে নিয়েছে মুক্ত আকাশে, এর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আজ উজ্জীবিত হচ্ছে সারা বিশ্ব।

সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ১৯৮৭ সালের ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ বৈদেশিক সম্পর্ক ব্যতীত অন্যান্য সকল রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার সম্মান রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার ঘটনা শুধুমাত্র বাঙালির ঝুলিতে থাকলেও বাংলাদেশেই রয়েছে আরো অনেক ভাষাভাষীর মানুষ। একুশের তাৎপর্য অবশ্যই সকল মাতৃভাষা ও বর্ণমালার প্রতি সম্মান প্রতিষ্ঠা। আজকের পৃথিবীতে রাষ্ট্রভাষা বা প্রধান ভাষার অধিকতর ব্যবহারের ফলে কম মানুষের ব্যবহৃত মাতৃভাষাগুলো মলিন হয়ে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বিলুপ্তপ্রায় মাতৃভাষাগুলো ফিরে পেতে পারে হারানো গৌরব, প্রতিষ্ঠিত হতে পারে মাতৃভাষাগুলোর সম্মান।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বসবাস করে এমন বাংলাদেশিরা তাদের নিজ নিজ ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা বাংলার বাইরেও মাতৃভাষার সংখ্যা রয়েছে ৪১টি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই সংখ্যা নির্ণয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছে। নতুনভাবে খুঁজে পাওয়া (১৫টি) ভাষাগুলোর বেশিরভাগেরই কোনো লিপি নেই। লিপিহীন ভাষাগুলোকে অক্ষরহীন ভাষা বলা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের গত কয়েক বছরের গবেষণায় যে ৪১টি মাতৃভাষার সন্ধান পাওয়া যায়, তা হলো- সাঁওতালি, মাহলে, কোল, কোরা বা কোদা, মুন্দারি, খারিয়া, সাউরা, খাসি, আবেং, আচিক, কুরুখ, মাল্টো, তেলেগু, গারো/ মান্দি, হাজং, কোচ, লালেং/ পাত্রা, মারমা, কোকবরক, খুমি, খিয়াং, লুসাই, তংচঙ্গা, ¤্রাে, রাখাইন, পাংখুয়া, বাউম, রেংমিট্চা, চক, মণিপুরী মেইথেই, লিঙ্গম, সাদরি, মাদ্রাজি, থর, উর্দু, ওড়িয়া, অহমিয়া, মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া, কানপুরী, চাকমা, নেপালি এবং কন্দো।

৪১টি ভাষার মধ্যে সবচেয়ে কম চর্চা হয় রেংমিট্চা ভাষা, এ ভাষায় শুধুমাত্র ২৫ জন কথা বলে। অন্যান্য ভাষাগুলোও প্রায় বিলুপ্তির পথে। মাতৃভাষার সংরক্ষণ ও মাতৃভাষাশ্রয়ী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে ভাষাগুলোকে জীবন্ত করা যেতে পারে। যে ভাষাগুলো কেবল মৌখিক রূপের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যার কোনো লিপি নেই, কাঠামো বা ব্যাকরণ নেই, কোনো লেখা হচ্ছে না, এমনসব অক্ষরহীন ভাষা টিকিয়ে রাখার কাজটা সহজ নয়। ভাষাগুলোকে জীবন্ত ও সচল করতে ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগ ও বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় কাজ করতে হবে। প্রতিটি ভাষার ডকুমেন্টশন প্রস্তুত করা, অভিধান তৈরি করা, সংশ্লিষ্ট ভাষায় প্রাথমিক বই লেখার জন্য লিপি ও ব্যাকরণ সংগ্রহ করে শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত করে তোলা। সৃজনশীল পন্থা ও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ব্যবহারে এসব ভাষার প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ধীরে ধীরে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার উপযোগী হয়ে উঠবে।

কোল জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা দুই হাজারের মধ্যে বেশির ভাগেরই বসবাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাবুডাইং, ফিলটিপাড়া ও চিকনা গ্রামে কোল ভাষায় তিনটি স্কুল চালু আছে। স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সামার ইনস্টিটিউট অব লিঙ্গুইস্টিকস (সিল) কোল ভাষায় বর্ণমালা তৈরি শুরু করে। এ প্রতিষ্ঠান কোডা, হাজং, কোচ (তিনটিকিয়া), মাহালে এবং বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের ভাষার বর্ণমালা তৈরি করেছে। তবে, নাজুক অবস্থার মধ্যে থাকলেও চাকমা, মারমা, সাঁওতালদের মতো বড় জাতিগোষ্ঠীগুলোর নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বা বাংলা ভাষাভাষীদের যাঁতাকলে যদি দেশের কোন একটি জাতির বর্ণমালা বা মাতৃভাষা হারিয়ে যায় তাহলে একুশের চেতনা ও তাৎপর্য প্রশ্নবিদ্ধ হবে। একুশের চেতনা বাস্তবায়নে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর বর্ণমালা ও মাতৃভাষায় প্রাণ সঞ্চার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।

একুশের চেতনা অবশ্যই মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের হাতিয়ার। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে শাসকগোষ্ঠী যতবারই আত্ম-অহংকার বা অজ্ঞতার বসে গণবিরোধী, স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করেছে, ঠিক ততোবারই দেশের মানুষ একুশের চেতনায় গর্জে উঠে, ঝাঁপিয়ে পড়েছে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। ছিনিয়ে নিয়েছে ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার। সকল শাসকগোষ্ঠীর প্রতি বার্তা দিয়েছে যে, রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে জুলুম-নির্যাতন, অত্যাচার-শোষণ নীতির মাধ্যামে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ জাতিকে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে স্তব্ধ করা যায় না।

একুশের চেতনা আমাদের অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিক-নির্দেশক। একুশ বাঙালি জাতির বারংবার উজ্জীবিত, জাগ্রত আলোকবর্তিকা। একুশ জাতীয় জীবনের প্রতিটি শুভ প্রয়াসের মূর্ত প্রতীক। একুশ জাতির সাংস্কৃতির বিকাশ। একুশ বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল বীরত্বগাথা ও প্রেরণার উৎস। একুশ দেশের জাতীয় সংকট ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠ। একুশ বাঙালির অস্তিত্ব, অসামপ্রদায়িকতা ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির মিরপুর, ঢাকা।

[email protected]



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top