বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


কয়েকটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র করছে: শেখ হাসিনা


প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২২ ০২:৩১

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২২ ০২:৩৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি-জামাত জোটের মদদপুষ্ট কয়েকটি রাজনৈতিক দল দেশের মানুষকে আবারও অন্ধকার ও দুর্দশার যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, ‘কি কারণে তারা সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়। আসলে তারা জনগণকে এই সরকার যে সব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে-তা থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এটাই কি তাদের আসল উদ্দেশ্য?’

বুধবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষক লীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা দেশের কোন সংকটপূর্ণ মুহূর্তে কখনোই জনগণের পাশে থাকেন না। জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে তারা অনেক বেশি ব্যস্ত থাকেন সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তুলতে। মি. মান্না, ড. কামাল হোসেন, কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারকে উচ্ছেদ করার আন্দোলন গড়ে তুলতে এখন বিএনপি-জামাত জোটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। কিছু মানুষ বিদেশে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ব্যস্ত, সরকার উৎখাতে ব্যস্ত। খুব ভালো কথা, তাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে তুলে ধরুক, যে তারা দেশের মানুষের জন্য কী করবে।’

তিনি বলেন, ‘একটি কথা আমি একটু বলতে চাই। আমাদের দেশের কিছু নেতা আছে, দুঃসময়ে মানুষের পাশে কতটুকু দাঁড়িয়েছে জানি না, করোনার সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করেছে কি না, সেটারও কোনো লক্ষণ আমরা দেখি না, তবে তারা আন্দোলনের জন্য খুব ব্যস্ত। কেন? কারণ এ সরকারকে হটাতে হবে। কোন সরকার? আওয়ামী লীগ সরকার। বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মান্না ও ড. কামাল হোসেনসহ তাদের একটি গ্রুপ। সেই সঙ্গে আবার তাদের সঙ্গে যুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি, আমাদের বাম দল, বাসদ-টাসদ আরও কারা কারা। তারা সবাই এক হয়ে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকার হটাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, অপরাধটা কি আওয়ামী লীগের। আমরা সরকারে এসেছি ২০০৮ সালের নির্বাচনে। যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম তাতে রূপকল্প-২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য আমরা স্থির করেছিলাম ২০২১ সাল পর্যন্ত। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। তারা বার বার আমাদের ভোট দিয়েছে, ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা সরকারে এসেছি। আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে আমাদের লক্ষ্য আমরা অর্জন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন আমরা করেছি। সেই সময়ে আমরা কী অর্জন করেছি? বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আমরা উন্নীত হয়েছি। আমার প্রশ্ন, এটা কি তাদের ভালো লাগেনি। সেই জন্য তারা বাংলাদেশকে মানে এই সরকারকে হটাতে চায়?’

তিনি বলেন, ‘আমরা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি। আজ সারা বাংলাদেশে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীনদের ঘর দিচ্ছি, জমি দিচ্ছি। প্রথমবার সরকারের এসে আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা ছিল। আমরা ব্যারাক হাউজ নির্মাণ করে দিয়েছিলাম। দ্বিতীয়বার আসার পর থেকে আমরা এখন তাদেরকে আলাদা ঘর সেমি পাকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে গড়ে উঠবে, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তারই ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নতুন নতুন দাবি করা লাগবে না। এই দেশের কৃষকের জন্য কোনটা মঙ্গলের সেটা আওয়ামী লীগ সরকার ভালোভাবেই জানে।’

এবারও ধান কাটার সময় কৃষক লীগকে কৃষকের পাশে থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এসএন/তাজা/২০২২


সম্পর্কিত বিষয়:

বিএনপি প্রধানমন্ত্রী

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top