রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


অচিরেই জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হবে বাংলা: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৪ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৪৫

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৪

ছবি-সংগৃহীত

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশাবাদী অচিরেই এটা বাস্তবায়ন হবে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রোববার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে ৭৬তম জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি আমার মাতৃভাষায় জাতিসংঘে বক্তব্য রাখবো। তবে সে রেওয়াজ সেদিন ছিল না। বঙ্গবন্ধু যাতে নিজের ভাষায় বক্তব্য দিতে পারেন, তাই তার সম্মানে জাতিসংঘ বিশেষভাবে বাংলায় বক্তব্য রাখার ব্যবস্থা করেছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু পরাশক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। আপনারা পৃথিবীর দারিদ্র বিমোচনে ব্যয় করুন, শিক্ষার জন্য ব্যয় করুন, স্বাস্থ্য সেবায় ব্যয় করুন।

মন্ত্রী আরও বলেন, কয়েকটি দেশের ভেটোর কারণে ৭২ সালে জাতিসংঘ আমাদের সদস্যপদ দিতে পারেনি। যেহেতু পরাশক্তির এখানে বিশেষ ক্ষমতা আছে, তারা যদি ভেটো দেয়, জাতিসংঘের এখানে কিছু করার থাকে না। সেদিন এই চীন বারবার আমাদের আবেদনের বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার কারণে ৭৪ সাল পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, সেই প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত জাতিসংঘের অনেক ব্যর্থতা ও সফলতা আছে। ব্যর্থতার কথা যদি বলতে চাই, কোনো সিদ্ধান্ত জনসম্পৃক্ততা হলেও সেখানে অনেক পরাশক্তি দেশ রয়েছে, যাদের জন্য জাতিসংঘ অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যেহেতু জাতিসংঘের নিজস্ব কোন বাহিনী নেই, তারা সারা বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের পয়সায় চলে, তাদের নিজস্ব এমন কোনো শক্তি নাই যে, কোনো পরাশক্তির অপসিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা সর্বোচ্চ পরামর্শ দিতে পারে এবং মানার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে জাতিসংঘ একটি সফল বিশ্ব সংস্থা। তারা বিভিন্ন কাজে তাদের সফলতা দেখিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এজন্য, বঙ্গবন্ধু সমুদ্র সীমার জন্য যে মামলা করে গিয়েছিলেন, সে মামলার রায় দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। তার রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সেই মামলা চালু করেন। সমূদ্র আইনের বদৌলতে আমরা বিনা রক্তপাতে মিয়ানমারের কাছ থেকে আমাদের সমূদ্র সীমা ফেরত এনেছি। এটা জাতিসংঘের কারণেই সম্ভব হয়েছে। তা নাহলে আমরা কখনোই সমুদ্রসীমা উদ্ধার করতে পারতাম না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top