সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ


প্রকাশিত:
২০ মে ২০২০ ০৫:৫৬

আপডেট:
২০ মে ২০২০ ০৫:৫৭

ফাইল ছবি

সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-১৯৮৩-এর আওতায় দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণপূর্বক বিজ্ঞানসম্মত ও সহনশীল আহরণ নিশ্চিতকল্পে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক সকল প্রজাতির মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ উপলেক্ষে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহ।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে নির্দেশাপত্র জারি করে নৌবাহিনী সদর দফতর, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব সদর দফতর, মৎস্য অধিদফতর, নৌপুলিশ, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মৎস্য দফতরে প্রেরণ করেছে মন্ত্রণালয়।

নির্দেশাপত্রে সমুদ্রগামী সব চ্যানেলের উৎসমুখে সব মৎস্য নৌযানের গমন বারিত করা, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণের ব্যাপক প্রচার, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মৎস্য আড়ৎ, বরফকল ইত্যাদিতে নিষিদ্ধকালীন মৎস্য অবতরণ না করা, কেনাবেচা বন্ধ এবং বরফ সরবরাহ না করা, মৎস্য অধিদফতরের সদর দফতরে সমন্বয় সেল খোলা, নিষিদ্ধকালীন বিদেশি মৎস্য নৌযান যাতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য অহরণ করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ, সমুদ্রগামী জেলেদের খাদ্য সহায়তা সুষ্ঠু ও যথাযথ বিতরণ নিশ্চিত করা এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্তৃক জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিষিদ্ধকাল যথাযথ বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এসব নির্দেশনার আলোকে মৎস্য অধিদফতর বেতার-টেলিভিশনে বিশেষ বার্তা প্রচার, স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং, ব্যানার প্রদর্শন, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ, স্থানীয় প্রচারণায় কমিউনিটি রেডিওকে সম্পৃক্তকরণ, সমুদ্রে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাছঘাট, আড়ত ও বাজার মনিটরিং, সার্ভেল্যান্স চেকপোস্ট থেকে মৎস্য নৌযান মনিটরিং, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার, কন্ট্রোল রুম খোলা, বাণিজ্যিক ট্রলারের সমুদ্র যাত্রা আদেশ প্রদান বন্ধকরণ, সমুদ্রে অবস্থানরত সব ট্রলার ফিশিং বোট ১৯ মের মধ্যে ফিরে আসা নিশ্চিতকরণ, উপকূলীয় বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজনসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

এদিকে এসব কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অনলাইন সভার মাধ্যমে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সমুদ্রে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, মাছকে বেড়ে উঠতে দেওয়া এবং অবৈধ মাছ আহরণ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। কাউকে আইনের বাইরে কোনো কিছু করতে দেওয়া হবে না। এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, নৌপুলিশসহ স্থানীয় অংশীজনদের সহায়তা কামনা করেন তিনি। এ সময়ে সমুদ্রগামী ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।


সম্পর্কিত বিষয়:

মাছ সমুদ্র

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top