আবারও সরকারবিরোধী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ফিলিপাইন
প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫০
আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৭

আবারও সরকারবিরোধী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এশিয়ার আরেক দেশ ফিলিপাইন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন রূপ নিয়েছে জনরোষে। কেবল সরকার নয়, প্রথাগত প্রশাসনিক নিয়ম পরিবর্তনেরও দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এতে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ম্যানিলা।
জানা গেছে, পাবলিক পার্কে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয় হাজার-হাজার মানুষ। ক্ষোভের সূত্রপাত বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অব্যবস্থাপনাকে ঘিরে। বরাদ্দকৃত ৯৫৪ কোটি ডলারের পুরোটাই লুটপাট হয়েছে। বিপুল এই অর্থ পকেটে পুরেছে দেশটির রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা। দিন দিন আরও খারাপ হয়েছে দুর্যোগপ্রবণ দেশটির পরিস্থিতি।
এনপিএ চেয়ারপারসন টেডি ক্যাসিনো বলেন, বছরের পর বছর বন্যায় ভোগান্তির শিকার মানুষ। অথচ এই সমস্যা সমাধানে যে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ের কথা, তা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের পকেটে গেছে। জড়িত প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার-হাজার পুলিশ, এমনকি সেনাও। তবে সেসব থোড়াই পাত্তা দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হয়েছে মিছিল, স্লোগান, অগ্নিসংযোগ। ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। ডেমোক্রেসি মনুমেন্টসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকেও অগ্রসর হয় বিক্ষোভকারীরা।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছি, বাড়িঘর হারিয়েছি। নিজেদের জীবন-ভবিষ্যৎ সব হারিয়েছি। আর তারা আমাদের ট্যাক্সের অর্থে নিজেদের ভাগ্য বদলেছে। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ছে আর বিদেশ সফরে যাচ্ছে। আমরা এই সিস্টেম বদলাতে চাই, যাতে জনগণ আর ভুক্তভোগী না হয়।
পরিস্থিতি বেসামাল হওয়ায় বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মারকোস জুনিয়র। নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ লোপাটের ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের। যদিও তাতে মন গলছে না জনতার। প্রেসিডেন্ট মারকোস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তে দু’জনেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ তাদের।
এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ফিলিপাইন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: