বৃষ্টি কবে থামবে, যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
 প্রকাশিত: 
                                                ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৫
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৩১
                                                
 
                                        হালকা থেকে ভারী, গত কয়েকদিন ধরে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ঝরছে বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে একটুআধটু বিরতি নিলেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল বর্ষণমুখর। এর ফলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি জনজীবনে ব্যঘাত ঘটছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ (রোববার) সারারাত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল দুপুর নাগাদ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাতভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, আগামীকাল দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তবে এখনও বাংলাদেশের সমুদ্রগুলোর জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, সকালে প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বর্তমান বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া শিগগিরই পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
টানা বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় রাজধানীজুড়ে যানজট
স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে ভোর থেকেই রাজধানীজুড়ে ঝরছে বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে একটুআধটু বিরতি নিলেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল বর্ষণমুখর। এমন অবস্থায় টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়কে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে বেড়েছে যানজট।
আবার কয়েক জায়গায় আন্দোলন ও বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ ছিল গাড়ি চলাচল। সবমিলিয়ে দিনভর রাজধানীর মানুষজনকে যানজট আর বৃষ্টির পানিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিন দুপুরে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার যান চলাচল। ফলে ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, নিউমার্কেট, নীলক্ষেতসহ আশপাশের পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে। মিরপুর সড়কে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজটের। বিকেলের আগেই যানচলাচল শুরু হলেও এখন পর্যন্ত যানজট অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া দুপুরের দিকে আন্দোলনের কারণে কিছু সময় বন্ধ ছিল রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার গোলাপ শাহ মাজারের উভয় পাশের সড়কের যানচলাচলও।
রাজধানীর আরেক প্রান্ত উত্তরা, রাজলক্ষ্মী ও এয়ারপোর্টেও গাড়ির দীর্ঘ সারি এবং যানচলাচলে ধীরগতি রয়েছে। একই অবস্থা রাজধানীর বাড্ডা, নতুন বাজার, নর্দা এবং কুড়িল এলাকারও। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত গাড়ির ধীরগতি এবং যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে মানুষজনকে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: