২৩ লাখ যক্ষ্মা রোগীর প্রাণ বেঁচেছে ৯ বছরে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২৩ ২২:৩৬
আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ১৮:০৫

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও সহযোগী সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত (৯ বছরে) দেশে প্রায় ২ দশমিক ৩ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। অধিদপ্তর আরও বলেছে, যক্ষ্মা স্বাস্থ্যসেবা জনসাধারণের নাগালের মধ্যে আনতে ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি পরিষেবা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও আইসিডিডিআর যৌথভাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর (টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি) ডা. মোঃ মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, ২০১৫ সালে যেখানে প্রতি ১ লাখে ৪৫ জন মারা গেছে, সেখানে ২০২১ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যু প্রতি লাখে ২৫ জনে নেমে এসেছে। যক্ষ্মা চিকিত্সা জটিল দীর্ঘমেয়াদী ইনজেকশনযোগ্য চিকিত্সা পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ মৌখিক স্বল্পমেয়াদী ওষুধ-প্রতিরোধী পদ্ধতিতে একটি বড় পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব প্রচেষ্টা ও অর্জন সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনো যক্ষ্মার জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত, যেখানে প্রতি মিনিটে একজন করে যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত হচ্ছে। 2021 সালে বিশ্বে প্রায় 3 লাখ 75 হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিল এবং 42 হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। অন্য কথায়, প্রতি 12 মিনিটে একজন যক্ষ্মার কারণে মারা যায়।
ড. মাহফুজ বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে সরকারের জন্য যক্ষ্মা সনাক্তকরণ, বিজ্ঞপ্তি, পরিষেবার সহজলভ্যতা, প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং সকল স্তরে অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআরের নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ আরও অনেকে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: