শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


৬৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ফারমার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট


প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২২ ০৩:২৮

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৫

মো. মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতি। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৬৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড বা পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় অভিযোগপত্র বা চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব মো. মাহাবুব হোসেন।

তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ব্যাংকিং নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, বন্ধকী সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন দেখিয়ে, নিজ পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। যার স্থিতি ৬৯ কোটি ৫৮ লাখ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ ও আত্মসাতের সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি গোপন করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক লেয়ারিং করা ও লেয়ারিং কাজে সহযোগিতা করেন।

মাহবুবুল হক চিশতি ছাড়াও চার্জশিটভুক্ত অপর ৫ আসামি হলেন- মেসার্স রোজবার্গ অটো রাইস মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হযরত আলী, রোজবার্গের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের শেরপুর শাখার প্রধান ও সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার উত্তম বড়ুয়া, ফারমার্স ব্যাংক প্রধান শাখার সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম এম শামীম ও সিটি সার্ভে লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. খায়রুল আলম।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ঋণের নামে ব্যাংকিং নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, বন্ধকী সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন দেখিয়ে, নিজ পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে আত্মসাৎ ও আত্মসাতের সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি গোপন করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক লেয়ারিং করা ও লেয়ারিং কাজে সহযোগিতা করেন।

দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ ধারার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন করে কমিশন।

মামলায় দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আহসান চৌধুরীকে আসামি করা হলেও চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রাশেদুল হক চিশতীকে তৎকালীন তদারককারী কর্মকর্তার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।


সম্পর্কিত বিষয়:

দি ফারমার্স ব্যাংক

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top