ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ চেয়ে চেম্বার আদালতে মান্না
প্রকাশিত:
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১০
আপডেট:
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০৯
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
ইতিপূর্বে তার করা রিট আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি আজ (রোববার) এই আবেদন করেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাইয়ুম।
এর আগে গত বুধবার বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মাহমুদুর রহমান মান্নার রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
ওই আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন নির্বাচনে মান্নার অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন– জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদনটি আদালত নাকচ করেছেন, যার ফলে নির্বাচনী আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি বাধার মুখে পড়লেন। অন্যদিকে, মান্নার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া তখনই জানিয়েছিলেন যে তারা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান ‘আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’-এর কাছে পাওনা ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা। মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো ওই নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
উল্লেখ্য, আফাকু কোল্ড স্টোরেজে মান্নার ৫০ শতাংশ এবং তার দুই অংশীদার এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ও ইসমত আরা লাইজুর ৫০ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে।
ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হলেও তারা নিয়মিত মুনাফা বা জরিমানা পরিশোধ করেনি। বকেয়া বেড়ে এখন ৩৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের বগুড়া বড়গোলা শাখার প্রধান তৌহিদ রেজা জানান, প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও চুক্তি অনুযায়ী পাওনা পরিশোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: