শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা


প্রকাশিত:
২৫ মার্চ ২০২১ ২৩:৪৮

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১৩:২৩

ছবি: সংগৃহীত

আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও হাজির না হওয়ায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমেদ খান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মনোয়ার হোসেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বৃহস্পতিবার হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ঠিক করেন।

সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, মৌখিক আদেশে হাজির না হওয়ায় আজকে (বৃহস্পতিবার) এসে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আদালত তাদের ক্ষমা করে অব্যাহতি দিয়েছেন।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার মামলায় গ্রেফতার হন শাফায়াত নামের এক ব্যক্তি। এ মামলায় শাফায়াতের জামিন চেয়ে ৯ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। শাফায়াতের পক্ষে জামিন আবেদনে আমরা বলেছি, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অপরাধে ডিজিটাল আইনে শাফায়াত নামে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আমি ওই শাফায়াত না। আমার নাম শাফায়াত উল্লাহ সাগর। আর ফেসবুকে যে আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে তার নাম শাফায়েত হোসেন আয়ান। এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৫ মার্চ আদালত বিষয়টি শনাক্ত করার জন্য সন্দ্বীপ থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ২২ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হতে মৌখিকভাবে আদেশ দেন। ওই আদেশের বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে জানালে তারা লিখিত আদেশ ছাড়া হাজির হবেন না বলেও জানান। এ বিষয়টি পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে অবহিত করেন। পরে আদালত ফের লিখিত আদেশ দিয়ে ২৫ মার্চ হাজির হতে নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তারা হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।


সম্পর্কিত বিষয়:

আদালত

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top