ড. ইউনূসের বিদেশ যেতে আদালতের অনুমতি লাগবে
প্রকাশিত:
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৪
আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৭
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদেশ যেতে চাইলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ড. ইউনূসের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করে ও শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
আদালত থেকে বেরিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন কলকারখানা অধিদফতরের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন দেন। ৩১ জানুয়ারি যার সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রায় হাতে পেয়ে নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। একইসঙ্গে ২৫ যুক্তিতে দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়।
গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। পরে শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন দেন। তখন বলা হয়েছিল, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ অন্যরা জামিনে থাকবেন। পরে ৩০ জানুয়ারি আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়নি। আগামী ৩ মার্চ তাদের আবার হাজির হতে হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: